‘নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করতে চায় চীন’

বাংলাদেশে দ্রুতই নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে চীন। ভবিষ্যতে উন্নততর প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক দেশটি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (৩০ জুন) মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফেরাতে চীনের মনোভাব অত্যন্ত পজিটিভ (ইতিবাচক) দেখেছি’।

বিএনপি মহাসচিব জানান, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের অবদানের কথা উল্লেখ করে ভবিষ্যতে ডিজিটাল প্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা, উচ্চশিক্ষা, যোগাযোগ, আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি, এসএমই বিজনেস, ব্লু ইকোনমি উন্নততর প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দেশটিকে অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে তার দল। এতে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে দেশটি।

সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে গিয়েছিলেন বিএনপির প্রতিনিধিরা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এ দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া ও জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার। ওই সফর বিষয়ে জানাতে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন তারাও।

পাঁচ দিনের এ সফরে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংসংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় ‘এক চীন নীতি’র প্রতি দলীয় অবস্থান দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করেছে বিএনপি। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীনের বিস্ময়কর উন্নতি, আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর ইতিবাচকতার কথা মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে ব্যক্ত করা হয়েছে।

এ বৈঠকে লি-হংসং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরের অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে সহনীয় করতে আমরা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো, বিভিন্ন ফি পুনর্বিবেচনা এবং অনুদানের সম্ভাব্যতার বিষয়েও তাদের সহায়তা চেয়েছি। সহানুভূতির সঙ্গে সেটি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তারা’।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা এবং সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে চীনকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।