এ. কে. খন্দকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রধান উপদেষ্টার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর-উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার (এ. কে. খন্দকার)-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ. কে. খন্দকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে তিনি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও সাংগঠনিক দক্ষতা স্বাধীনতার সংগ্রামকে সুসংহত করেছিল।
ড. ইউনূস বলেন, স্বাধীনতার পর এ. কে. খন্দকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে অসামান্য অবদান রাখেন।
শোকবার্তায় তিনি আরও উল্লেখ করেন, রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ. কে. খন্দকার স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে গ্রন্থ রচনা করেন, যার কারণে তিনি পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়েন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস তুলে ধরাই তাঁর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ. কে. খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা, সৎ ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় ড. ইউনূস এ. কে. খন্দকারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে