Views Bangladesh Logo

চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হাকিম বিএনপির নেতাকর্মী নন: রিজভী

ট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত আব্দুল হাকিম বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ বিষয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে রিজভী দাবি করেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনায় আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হন।

তিনি বলেন, এই সহিংস ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চিত্র তুলে ধরছে। এতে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও ভীতি তৈরি হয়েছে, যারা ব্যাপক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

রিজভী স্পষ্টভাবে জানান যে, নিহত ব্যক্তি ও দুষ্কৃতকারীদের কেউই বিএনপির নেতাকর্মী নন। কয়েকটি গণমাধ্যমে নিহত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সমাজের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। সেই কারণে এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি। জনগণ এই অরাজক পরিস্থিতির দ্রুত অবসান দেখতে চায়।

একই সঙ্গে সরকারের প্রতি দ্রুত হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় বিএনপির এমন বক্তব্য সত্ত্বেও এই হত্যাকাণ্ডের পর রাউজানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা। অবশ্য রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদ দাবি করেন, হাকিম বিএনপির সমর্থক ও একজন ব্যবসায়ী। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, বাগুয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের প্রয়াত আলী মদন চৌধুরীর ছেলে আবদুল হাকিম গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। যদিও তার দলীয় কোনো পদ ছিল না, তবে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি রাউজানে বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আবদুল হাকিম তার গ্রামের খামারবাড়ি থেকে আরও একজন সঙ্গীসহ চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মদুনাঘাট পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে সশস্ত্র মোটরসাইকেল আরোহীদের একটি দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

সূত্রমতে, ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন হাকিম। তবে তিনি ২০২২ সালের দিকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর আবার বিএনপির কার্যক্রমে ফিরে আসেন। জানা যায়, তিনি কর্ণফুলী এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করতেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ