Views Bangladesh Logo

প্রশিক্ষণ ও পুনর্জাগরণের আসর দিয়ে শেষ হলো চর্যাপদ উৎসব

র্যাগানের প্রশিক্ষণ ও পুনর্জাগরণের ভাবগম্ভীর আসরের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (১১ জুলাই) শেষ হলো তিনদিনব্যাপী ‘চর্যাপদ পুনর্জাগরণ উৎসব ২০২৫’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে উৎসবের সমাপনী আয়োজন।

ভাবনগর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে উৎসবের তৃতীয় দিনের প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় চর্যাপদের গানের প্রশিক্ষণ কর্মশালা, যেখানে প্রশিক্ষণ দেন সাধিকা সৃজনী তানিয়া, শাহ আলম দেওয়ান এবং বাউল অন্তর সরকার। তারা যথাক্রমে আদি ভাষায় কাহ্নুপা, সমকালীন বাংলায় চর্যাপদ এবং অতীশ দীপঙ্কর রচিত চর্যা-গীতির প্রশিক্ষণ দেন। এ কর্মশালায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত সাধকশিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. কিথ ই কান্তু এবং ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের বিশেষ আসর। এতে লুইপার ‘কাআ তরুবর’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পর্যায়ক্রমে পরিবেশনায় অংশ নেন চুয়াডাঙ্গার আব্দুল লতিফ শাহ, পাবনার ফকির আবুল হাশেম, সুনামগঞ্জের মণীন্দ্র দাশ, ঝিনাইদহের ফতেহ কামাল, কিশোরগঞ্জের পিপাসী, মানিকগঞ্জের অন্তর সরকার, বরিশালের শাহ আলম দেওয়ান, নেত্রকোণার মিনা পাগলীসহ আরও অনেকে। সংগীতে বাদ্য সংগত করেন হাসান মিয়া, জাকির চিশতি ও নজরুল ইসলাম রানা।

সমাপনী পর্বে চর্যাগান পুনর্জাগরণে একযুগ ধরে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা দেয়া হয় শাহ আলম দেওয়ান ও অন্তর সরকারকে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্রও বিতরণ করা হয়।

সমাপনী ভাষণে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, চর্যাপদের পুনর্জাগরণ শুধু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নয়, এটি বাঙালির আত্ম-উপস্থিতির র‍্যাডিকাল পাঠ। দেহ, ভাব ও ঈশ্বরকে অভিন্ন করে দেখার সহজিয়া দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেই বাংলার মুক্তির ভাষা নিহিত।

তিনি বলেন, চর্যাপদ যেন বিদেশি ‘এক্সোটিক প্রাচ্যবাদী’ দৃষ্টিভঙ্গির বদলে বাংলার নিজের আবিষ্কারে পরিণত হয়, এ প্রত্যাশা ভাবনগর পূরণ করবে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সমাপনী ভাষণে অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া চর্যাপদের ভাবগভীর তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ