অর্থনীতি
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের পাঁচটি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। দেশের সবচেয়ে বড় এই সরকারি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
বাংলাদেশে ডলার সংকট নেই: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডঃ আহসান হাবীব মনসুর বলেছেন, দেশে ডলার সংকটের কোনো পরিস্থিতি নেই।
বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং: ব্যবসায়িক মডেল, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে দুবার দেশে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদন আহ্বান করেছে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে নাগাদ ও কড়ি- এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সেই লাইসেন্সগুলো স্থগিত করা হয়।
জীবিকার নৈতিক ভূগোল
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতিদিনের দৃশ্যপটে অসংখ্য মানুষ তাদের শ্রম, সততা এবং নৈতিকতার মাধ্যমে জাতির উন্নয়নে অবদান রাখছেন। কেউ শহরের ভোরবেলায় দোকানের শাটার তোলে, কেউ মফস্বলের রাস্তায় ঠেলাগাড়ি চালায়, কেউ আবার বিদেশের প্রবাসে ঘাম ঝরায় সবাই একই সুতায় বাঁধা, জীবিকার জন্য সংগ্রামী মানুষ।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগী হতে রপ্তানি আয় দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আইটি এবং বিটুসি ই-কমার্স বিজনেসের সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কত রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এ ধরনের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়ছে এবং তা আরও বাড়তে পারে সঠিক নীতিমালা থাকলে এ খাত থেকে রপ্তানি এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ সম্ভব। এরা মূলত বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এফ কমার্স ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ব্যবসায় পরিচালনা করে।
উন্নয়ন সহযোগীদের আপত্তিকর শর্ত প্রত্যাখ্যান করতে হবে
বিগত সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পদযাত্রায় বাংলাদেশের ওষুধ খাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সক্ষমতা জোরদার জরুরি
বাংলাদেশের ওষুধ খাত আমাদের অন্যতম গর্ব। এ খাত দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পূরণ করে, ফলে প্রতি বছর ৭-৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ওষুধ বাজার ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে খাতটি জিডিপির প্রায় ১.৮৩ শতাংশ অবদান রাখছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। তবে এই খাতটি এখনো ব্যাপকভাবে আমদানিনির্ভর। প্রতি বছর প্রায় ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয় অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) আমদানিতে। দেশের তৈরি ওষুধ এখন ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যার পরিমাণ প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে এ খাত দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া তরুণদের জন্য বিপুলসংখ্যক অফিসভিত্তিক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
রপ্তানিপণ্য তালিকায় নতুন পণ্য সংযুক্ত না করলে ট্যারিফ যুদ্ধে পরাজিত হতে হবে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি শুল্কারোপ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। গত এপ্রিল মাসে প্রথম এ ধরনের বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তিন মাসের জন্য বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা স্থগিত রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ওপর আরোপিত শুল্কহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করে। অধিকাংশ দেশই এ ক্ষেত্রে সফলকাম হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছিল। ভিয়েতনামের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ এবং ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছিল। চীনের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ হারে বাড়তি শুল্কারোপ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য চীনের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছে।
ইইউ বাজারে ইএসপিআরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রয়োজন
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইকো-ডিজাইন ও টেকসই পণ্যবিধি (ইএসআর) কার্যকর হয়েছে। সমষ্টিগত উদ্যোগের অংশ হিসেবে এটি গৃহীত পদক্ষেপসমূহের একটি অংশ। পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সার্কুলারিটি এবং জ্বালানি দক্ষতার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইইউ। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই এটি অর্জিত হবে। নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য এই বিধি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। যেমন বস্ত্রশিল্প ও ইস্পাত শিল্প।
দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে যে কারণে
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না মানুষের প্রকৃত আয় বৃদ্ধির গতি। ফলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।