Views Bangladesh Logo

অর্থনীতি

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগী হতে রপ্তানি আয় দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগী হতে রপ্তানি আয় দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার

অর্থনীতি

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগী হতে রপ্তানি আয় দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আইটি এবং বিটুসি ই-কমার্স বিজনেসের সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কত রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এ ধরনের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়ছে এবং তা আরও বাড়তে পারে সঠিক নীতিমালা থাকলে এ খাত থেকে রপ্তানি এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ সম্ভব। এরা মূলত বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এফ কমার্স ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ব্যবসায় পরিচালনা করে।

উন্নয়ন সহযোগীদের আপত্তিকর শর্ত প্রত্যাখ্যান করতে হবে
উন্নয়ন সহযোগীদের আপত্তিকর শর্ত প্রত্যাখ্যান করতে হবে

অর্থনীতি

উন্নয়ন সহযোগীদের আপত্তিকর শর্ত প্রত্যাখ্যান করতে হবে

বিগত সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পদযাত্রায় বাংলাদেশের ওষুধ খাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সক্ষমতা জোরদার জরুরি
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পদযাত্রায় বাংলাদেশের ওষুধ খাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সক্ষমতা জোরদার জরুরি

অর্থনীতি

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পদযাত্রায় বাংলাদেশের ওষুধ খাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সক্ষমতা জোরদার জরুরি

বাংলাদেশের ওষুধ খাত আমাদের অন্যতম গর্ব। এ খাত দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পূরণ করে, ফলে প্রতি বছর ৭-৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ওষুধ বাজার ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে খাতটি জিডিপির প্রায় ১.৮৩ শতাংশ অবদান রাখছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। তবে এই খাতটি এখনো ব্যাপকভাবে আমদানিনির্ভর। প্রতি বছর প্রায় ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয় অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) আমদানিতে। দেশের তৈরি ওষুধ এখন ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যার পরিমাণ প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে এ খাত দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া তরুণদের জন্য বিপুলসংখ্যক অফিসভিত্তিক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

রপ্তানিপণ্য তালিকায় নতুন পণ্য সংযুক্ত না করলে ট্যারিফ যুদ্ধে পরাজিত হতে হবে
রপ্তানিপণ্য তালিকায় নতুন পণ্য সংযুক্ত না করলে ট্যারিফ যুদ্ধে পরাজিত হতে হবে

অর্থনীতি

রপ্তানিপণ্য তালিকায় নতুন পণ্য সংযুক্ত না করলে ট্যারিফ যুদ্ধে পরাজিত হতে হবে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি শুল্কারোপ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। গত এপ্রিল মাসে প্রথম এ ধরনের বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তিন মাসের জন্য বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা স্থগিত রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ওপর আরোপিত শুল্কহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করে। অধিকাংশ দেশই এ ক্ষেত্রে সফলকাম হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছিল। ভিয়েতনামের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ এবং ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছিল। চীনের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ হারে বাড়তি শুল্কারোপ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য চীনের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছে।

ইইউ বাজারে ইএসপিআরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রয়োজন
ইইউ বাজারে ইএসপিআরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রয়োজন

অর্থনীতি

ইইউ বাজারে ইএসপিআরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রয়োজন

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইকো-ডিজাইন ও টেকসই পণ্যবিধি (ইএসআর) কার্যকর হয়েছে। সমষ্টিগত উদ্যোগের অংশ হিসেবে এটি গৃহীত পদক্ষেপসমূহের একটি অংশ। পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সার্কুলারিটি এবং জ্বালানি দক্ষতার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইইউ। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই এটি অর্জিত হবে। নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য এই বিধি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। যেমন বস্ত্রশিল্প ও ইস্পাত শিল্প।

দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে যে কারণে
দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে যে কারণে

অর্থনীতি

দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে যে কারণে

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না মানুষের প্রকৃত আয় বৃদ্ধির গতি। ফলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

তদারকি না করে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানই আসল সমস্যা
তদারকি না করে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানই আসল সমস্যা

অর্থনীতি

তদারকি না করে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানই আসল সমস্যা

২০২৫ সালে প্রায় ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অধিক-লাইসেন্সপ্রাপ্ত আর্থিক খাতের দেশ। বর্তমানে দেশে রয়েছে ৬১টি তফসিলি ব্যাংক, ৩৮টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ৭৫০টিরও বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, এর পাশাপাশি ১৩টি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ৯টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ১২টি পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর। এসব প্রতিষ্ঠান চারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে পরিচালিত- বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তবুও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আশানুরূপ হয়নি। নগরাঞ্চলের একটি বড় অংশসহ জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে।

মার্কিন শুল্ক যুদ্ধে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়
মার্কিন শুল্ক যুদ্ধে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়

অর্থনীতি

মার্কিন শুল্ক যুদ্ধে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়

তিন দফা আলোচনা শেষে বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে তার পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে পেরেছে। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য যেমন ইতিবাচক, তেমনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য কূটনৈতিক সাফল্যও বটে। কারণ গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প যখন প্রথমবার বিভিন্ন দেশের ওপর বাড়তি শুল্কের পরিমাণ ঘোষণা করলেন, তখন বাংলাদেশের পণ্য থেকে ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক নেয়ার কথা বলেছিলেন। পরে সেই শুল্ক স্থগিত হয়ে যায়। ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে ট্রাম্প জানান, ৩৭ নয়, ২ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর শুল্কের পরিমাণ করা হচ্ছে ৩৫ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে

অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে

২০২৫ সালের ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০৮টি দেশের ওপর ১১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত পারস্পরিক শুল্ক (Reciprocal Tariff) আরোপের ঘোষণা দেন। এটি বিশ্বের সব দেশের জন্যই এক ধরনের ধাক্কা হিসেবে এসেছে তা দেশটির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ যতই হোক না কেন কিংবা সেই দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় বা ছোট হোক না কেন। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল ৪ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই সেবা খাতে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। প্রমাণস্বরূপ ২০২৪ সালে সেবা রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল শূন্য দশমিক ৮৪১ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র কোথাও সেবা খাতকে উল্লেখ করেনি অথচ বিশ্বব্যাপী সেবা রপ্তানি দ্রুত বাড়ছে এবং ভবিষ্যতের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি হ্রাসের এই প্রবণতা ধরে রাখতে হবে
উচ্চ মূল্যস্ফীতি হ্রাসের এই প্রবণতা ধরে রাখতে হবে

অর্থনীতি

উচ্চ মূল্যস্ফীতি হ্রাসের এই প্রবণতা ধরে রাখতে হবে

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ইস্যুটি সবচেয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে তা হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা। কোনোভাবেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছিল না। করোনা-উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি যখন উত্তরণের পর্যায়ে ছিল ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। ফলে পরিবহন সংকটজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার বছর বিশ্বের খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। তাই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকে পণ্য উৎপাদন ঘাটতিজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ ছিল না।

...

ট্রেন্ডিং ভিউজ