ভোক্তা অধিকার গুরুতর লঙ্ঘন হলে আদালতে যাবে ক্যাব
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সক্রিয় সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জানিয়েছে, ভোক্তা অধিকার যদি গুরুতর লঙ্ঘন হয়, তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে।
ক্যাবের সভাপতি এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান শুক্রবার ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ক্যাবের কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ক্যাব কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়। এই সংস্থার কাজ হলো অনিয়ম চিহ্নিত করা এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া।’ তিনি আরও বলেন, সরাসরি আইন প্রয়োগ করা ক্যাবের দায়িত্ব নয়। ভোক্তা অধিকার পরিচালক, বিএসটিআই, সেফ ফুড অথরিটি-এর মতো সংস্থার নির্দিষ্ট প্রশাসনিক ও আইনগত ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের অধীনে মোবাইল কোর্টও আইন প্রয়োগ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ক্যাব জনগণকে সচেতন করে এবং অনিয়মগুলো প্রকাশ করে যাতে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধান না হলে সংস্থা বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে পরিচালনা করে।
সফিকুজ্জামান উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ডায়াবেটিস স্ট্রিপসের উপর আমাদের প্রচারণার সময় আমরা দেখেছি, মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা থাকা সত্ত্বেও একটি সরকারি সংস্থা ডিএনসিসিএফের বিরুদ্ধে কাজ করছিল। আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করি, যা সরকারের সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একইভাবে, আদালতের আদেশের মাধ্যমে হার্ট বাল্ব এবং রিং-এর দামও কমানো সম্ভব হয়েছে।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ক্যাব সাধারণত নির্ধারিত সংস্থার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করতে পছন্দ করে, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে বিচারিক হস্তক্ষেপ চাইতে তারা কোনো দ্বিধা করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশন কবীর ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. মঞ্জুর-ই-খোদা তারাফদার, প্রচার সম্পাদক মো. মুসা মিয়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. শওকত আলী খানও উপস্থিত ছিলেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে