হাদির জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসসহ রাজনৈতিক নেতারা, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে কঠোর নিরাপত্তা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে।
জানাজাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
মানিক মিয়া এভিনিউতে জানাজার জন্য অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকায় পুলিশ, র্যাব, আনসার, এপিবিএন, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে প্রথম স্তরে হ্যান্ড মেটাল ডিটেকটরের মাধ্যমে তল্লাশি, দ্বিতীয় স্তরে আর্চওয়ে বসিয়ে স্ক্যানিং এবং তৃতীয় স্তরে ব্যারিকেড দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সার্বিক নিরাপত্তা তদারক করছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জানাজা উপলক্ষে এক হাজার বডি-ওর্ন ক্যামেরাসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি রায়ট কন্ট্রোল গিয়ারসহ ২০ প্লাটুন বিজিবি এবং ৮৭০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
জানাজাকে কেন্দ্র করে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ডিএমপি নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানাজায় ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন নিষিদ্ধ করেছে এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। জানাজা শেষে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
হাদির মৃত্যুতে আজ দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
এদিকে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম হাদির জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সারা দেশে গায়েবানা জানাজা ও ‘আধিপত্যবাদবিরোধী কফিন মিছিল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে