আরও ১৮ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) মেহেরপুরের গাংনী ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৮ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরের পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পুশইন কার্যক্রম ঘটে।

গাংনীর কাজিপুর সীমান্ত দিয়ে ৬ জন, সহড়াতলা দিয়ে ৩ জন এবং দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির কাজিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, কাজিপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৪৫/৪এস ও ১৪৬-এর মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে এদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়।

সুবেদার হাবিবুর বলেন, “পুশইন হওয়া ব্যক্তিরা অতীতে বিভিন্ন সময়ে ভারতে প্রবেশ করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন। সাজা শেষে বিএসএফ তাদের সীমান্তের ওপারে এনে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।” তবে এদের প্রকৃত নাগরিকত্ব যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরই বিস্তারিত বলা যাবে বলেও জানান তিনি।

পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:

মহসিন শেখ (৩১), পিতা রাজা শেখ, কাঞ্চনপুর, কালিয়া, নড়াইল

সাথি বেগম (২৪), পিতা টুটুল মোল্লা, কাঠাধুড়ো, কালিয়া, নড়াইল

তানিয়া খাতুন, পিতা সাত্তার মিয়া, গাউছিয়া, নারায়ণগঞ্জ

তুহিন শেখ, পিতা ইলিয়াছ শেখ, ইদিয়া, অভয়নগর, যশোর

ময়না বেগম, পিতা ইদ্রিস মোল্লা, ইখরি, তেরখাদা, খুলনা

ফাতেমা বেগম, পিতা ইছাহাক আলী, রতনদিঘী, বালিয়াকান্দি, ঠাকুরগাঁও

সোহেল রানা, পিতা আকবর আলী, বলনচা, রানীশংকল, ঠাকুরগাঁও

বরকত শেখ, পিতা সিদ্দিক শেখ, মাধবপাশা, নড়াইল

ইকরামুল হোসেন, পিতা ইদ্রিস আলী, উজিরমনি, বালিয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও

হাসিবুল ইসলাম, পিতা আব্দুল কাদের, চচপাড়া

জাকির আলী, পিতা হামিদ, কাচকালি

শাহ আলম, পিতা সোবহান, বারিশা

আব্দুল কাদের, পিতা ছলিমুদ্দীন, কাশিপুর

উসিরুল ইসলাম, পিতা ইব্রাহিম, কেরবাড়ি

লতা শেখ, স্বামী হাসমত খান, বিষ্ণপুর, নড়াইল

রমজান মোল্লা, পিতা হাসু মোল্লা, বিষ্ণপুর

আফরোজা কানন, পিতা হাসু মোল্লা, বিষ্ণপুর

স্মৃতি বেগম, স্ত্রী রমজান মোল্লা, বিষ্ণপুর

৪৭ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মথুরাপুর বিওপির হাবিলদার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহল দল মেইন পিলার ১৪১ থেকে ২০০ গজ ভেতরে বাঁশবাগান এলাকা থেকে ৬ জনকে, শেওড়াতলা বিওপির হাবিলদার রফিকের নেতৃত্বে ৩ জনকে এবং কাজিপুরে সুবেদার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ জনকে আটক করে। আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় বিএসএফকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। এখনো তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সাড়া পেলে নোম্যান্সল্যান্ডে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হবে।