বরগুনা পলিটেকনিকে শেখ মুজিব ও হাসিনার বইয়ে আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন
বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা তিন শতাধিক বই পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী লাইব্রেরি থেকে বইগুলো নিয়ে এসে প্রকাশ্যে আগুন দেয়। বইগুলো ছিল শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে ঘিরে লেখা জীবনী, গবেষণা এবং রাজনৈতিক ইতিহাসভিত্তিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বই পোড়ানোর ঘটনায় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা জড়িত ছিল।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আতিকুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে শিক্ষকদের বলা হয়েছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের বই ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি থেকে সরিয়ে ফেলতে। এরপর তারা সরিয়ে ফেলার কথা বললেও তা সরাননি। তাই ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিল, সবাই মিলে শেখ হাসিনা ও তাঁর বাবা শেখ মুজিবের বই পুড়িয়ে ফেলেছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সেক্রেটারি সরোয়ার হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে নিয়ে লেখা জীবনী ও তাঁর বাবা শেখ মুজিবের বই লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিল। শিক্ষকরা বলেছিলেন, এসব বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, সরানো হয়নি। তাই গতকাল ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে লাইব্রেরি খুঁজে ওই সব বই পায়। এরপর সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
এদিকে বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদল সভাপতি শাহরিয়ার তাহসিন বলেন, “এটি সাধারণ শিক্ষার্থীরা করেছে। ছাত্রদলের কোনো ভূমিকা নেই।”
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার মো. জিয়াউল হককে প্রধান করে পাঁচটি বিভাগের প্রধান ও প্রধান সহকারীকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে