পূজার আমেজে উৎসবে মেতেছে বগুড়া
ছোটদের উচ্ছ্বাস, ঠাকুর দেখা, রাতভর আড্ডা, প্যান্ডেলের আলো-আঁধারের খেলা আর নতুন পোশাকে শহরের পথে ঘুরে বেড়ানো মিলিয়ে বগুড়া এখন বর্ণিল নগরী। পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজে মেতেছে শহর আর গ্রামগুলো।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মহাঅষ্টমীর সকালে বগুড়ার গণ্ডগ্রাম কালিতলা গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে ছিল পূজার তেমনই রঙিন ছোঁয়া। সেখানকার শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম পূজামণ্ডপে হয়েছে কুমারী পূজা। উৎসবমুখর পরিবেশে জমজমাট মণ্ডপজুড়ে জমে ওঠে ভিড়, বসে মিলনমেলা।
পূজা দেখতে আসা সেতু রানী মোদক বলেন, ‘এই পূজা আমাদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবিও। কুমারী পূজার প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের শেকড়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে’।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় পূজার সাজে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন প্রিয়ন্তী পূর্বাশা সেতু। সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজন। তারা একসঙ্গে ভাগাভাগি করছিলেন পূজার আনন্দ, দেখছিলেন ঠাকুর, তুলছিলেন ছবি আর ধরে রাখেন পূজার প্রতিটি মুহূর্ত।
নামাজগড় এলাকার ডালপট্টি পূজামণ্ডপে এসে পূর্বাশা বলেন, ‘পূজা মানেই আনন্দ, পরিবারের সব সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে সময় কাটানো। এই সময়টির জন্যই আমরা বছরজুড়ে অপেক্ষা করি। এটি শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার সময়ও’।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল দাস বলেন, দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসবই নয়, এটি সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক আবেগেরও, যা ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের গভীরে। এক বছরের প্রতীক্ষা পূর্ণতা পায় পূজার উৎসবে’। এ বছর জেলার ৬৮৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করছি’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে