Views Bangladesh Logo

জন্মদিনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। একইসঙ্গে নারীর নিরাপত্তা, ডিজিটাল যুগের ঝুঁকি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে একটি দীর্ঘ বার্তা দেন তারেক রহমান।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ আমাদের জীবনধারা, সামাজিক আচরণ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় পরিবর্তন এনেছে। বিশেষত নতুন প্রজন্মের জন্য এখন সুযোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি ঝুঁকিও বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দেশের অগ্রগতির জন্য নারীদের নিরাপত্তা অপরিহার্য। প্রতিদিন অসংখ্য নারী শুধু কথা বলা, কাজ করা বা মুক্তভাবে চলার কারণে হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হন- যা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, 'নারীদের অনলাইনে ও অফলাইনে, ঘরে ও বাইরে, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের প্রতিটি জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।'

নারীদের সুরক্ষা জোরদারে বিএনপির পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো—

১. ন্যাশনাল অনলাইন সেফটি সিস্টেম- যেখানে নারীরা দ্রুত ও সহজে সাইবার বুলিং, হুমকি, প্রতারণা, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার বা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ জানাতে পারবেন। এর জন্য ২৪/৭ হটলাইন, অনলাইন পোর্টাল ও প্রশিক্ষিত রেসপন্ডার রাখা হবে। বড় প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলা ভাষার কনটেন্ট দ্রুত মডারেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

২. পাবলিক লাইফে নারীর সুরক্ষা প্রোটোকল-সাংবাদিক, কর্মী, শিক্ষার্থী বা কমিউনিটি নেত্রী হিসেবে যারা আক্রমণ বা হয়রানির মুখোমুখি হন- তাদের জন্য জাতীয় নির্দেশিকা, দ্রুত আইনি ও ডিজিটাল সহায়তা এবং গোপনীয় রিপোর্টিং চ্যানেল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কোনো নারীকে জনজীবনে অংশগ্রহণের কারণে নীরব হয়ে থাকতে হবে, এটা মেনে নেয়া যাবে না।

৩. ডিজিটাল সেফটি শিক্ষা-স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অরিয়েন্টেশনের সময় বাস্তবসম্মত ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষিত শিক্ষকরা ‘সেফটি ফোকাল পয়েন্ট’ হিসেবে কাজ করবেন এবং বার্ষিক সচেতনতা কার্যক্রম তরুণদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ডিজিটাল জগতে চলতে সাহায্য করবে।

৪. সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে শক্তিশালী কমিউনিটি পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া-কমিউনিটি হেল্প ডেস্ক, নিরাপদ যাতায়াত, উন্নত রাস্তার আলো, এবং ট্রমা-সেনসিটিভ রেসপন্ডার নিয়োগের মাধ্যমে নারীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও নিরাপদ ও সুনিশ্চিত করা হবে।

৫. নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে জাতীয় উদ্যোগ-লিডারশিপ ট্রেনিং, মেন্টরিং নেটওয়ার্ক এবং স্কুল-অফিস-কারখানায় শিশু যত্ন সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে নারীরা নেতৃত্ব দিতে, সাফল্য অর্জন করতে এবং পূর্ণাঙ্গভাবে অবদান রাখতে পারবেন। ‘নারী উন্নত হলে, জাতি উন্নত হয়।

স্ট্যাটাসে তারেক রহমান বলেন, নারীরা যত বেশি নিরাপদ ও ক্ষমতায়িত হবে, বাংলাদেশ তত বেশি শক্তিশালী হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ