নরেন্দ্র মোদির শুভকামনার বার্তায় বিএনপির কৃতজ্ঞতা

গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বার্তা পাঠিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ মোদি খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তার পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লেখেন, 'বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বাংলাদেশের গণজীবনে দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য আন্তরিক প্রার্থনা ও শুভকামনা রইল। ভারত যেকোনোভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।'

মোদির এই বার্তার পর বিএনপির অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছাপূর্ণ বার্তার জন্য দলটি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তারা লিখেছে, 'বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করছি। সহায়তার প্রস্তুতি জানানোর জন্যও গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।'

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শুরুতে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক জটিলতা বাড়ে। পরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয় এবং ভেন্টিলেশনসহ জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা দেওয়া হয়। বিদেশি বিশেষজ্ঞসহ একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসা তদারকি করছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন , তার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেন, চিকিৎসকেরা প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা প্রয়োগ করেও উন্নতি আনতে পারছেন না। 'উনি অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এখন জাতির কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।'

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, 'দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা দিনরাত চেষ্টা করছেন। কিন্তু উনি খুবই অসুস্থ।'

দীর্ঘদিন ধরেই লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, চোখের জটিলতাসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন বেগম খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে থাকার পর তিনি চলতি বছরের ৬ মে দেশে ফেরেন।