Views Bangladesh Logo

বড় গরুর চাহিদা নেই কোরবানির হাটে, ছোট পশুর সংকটেও বেচা-কেনার ধুম

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শেষ সময়ে রাজধানীর হাটগুলোতে চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনার ধুম। ছোট ও মাঝারি গরু আর খাসির চাহিদা বেশি থাকলেও ঈদের একদিন আগে ক্রেতার চাপে সেগুলোর সংকট দেখা দিয়েছে হাটে।

শেষদিকে এসে বড় গরু কেনা-বেচা বাড়লেও ছয় লাখের বেশি দামের পশু নিয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, বড় গরুগুলো কম দামে ছাড়লে লোকসান গুনতে হবে। তাই শেষ সময় পর্যন্ত তারা দেখতে চান।

তবে বাড়তি চাহিদার চাপ সামাল দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পশু আনা হচ্ছে বলেও জানান বেপারিরা।

পবিত্র ঈদ-উল আযহা উদ্‌যাপিত হবে শনিবার (৭ জুন)। তাই শুক্রবারই (৬ জুন) কোরবানির হাটের শেষ দিন।

মগবাজার থেকে গাবতলী হাটে গরু কিনতে আসা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাজেট ৯০ হাজার। এই বাজেটে গত বছর মাঝারি সাইজের গরু কিনেছিলাম। এবার গাবতলী হাটে এসে দেখি, ছোট আর মাঝারি গরু নেই'।

রামপুরার শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাজারে বড় গরুর অভাব নেই। কিন্তু ওগুলো নেয়ার সামর্থ্য তো সবার নেই। আমরা যারা মধ্যবিত্ত, তাদের পছন্দের গরুই এখন নেই হাটে'।

বিক্রেতারা বলছেন, বড় গরু পালন করতে অনেক খরচ পড়ে, সেই খরচ তুলতে গেলে দাম তো একটু বেশি চাইতেই হয়।

ময়মনসিংহ থেকে গরু নিয়ে আসা খামারি আবু বকর বলেন, ‘বছরের পর বছর খরচ করে বড় গরু পালন করি। এখন হাটে এনে যদি দাম না পাই, তাহলে তো লোকসান গুণতে হবে। ক্রেতারা দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে এসে কিছুটা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে'।

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা থেকে ৪৭টি গরু নিয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ি অস্থায়ী পশুর হাটে এসেছিলেন চারজন পাইকারি ব্যবসায়ী। তাদের একজন কালাম মিয়া জানান, তাদের আনা ৪১টি গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি ছয়টিও দ্রুতই বেচা হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা কামালের।

পাবনার সাঁথিয়ার ব্যবসায়ী খালেক মজুমদার বলেন, তার একটি গরুর দামই আড়াই লাখ টাকার কাছাকাছি। সেখানে দুটি গরুর জন্য ক্রেতারা ওই দাম বলছেন। তিন লাখ হলেও গরু দুটি বিক্রি করে এলাকায় চলে যাবেন বলেও জানান তিনি।

মিরপুর ১২ নম্বরের পল্লবী থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি হাটে গরু কিনতে গেছেন আসলাম উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা শেষ পর্যায়ে গরু না থাকার সুযোগে দাম ছাড়তে চাইছেন না।’ এক লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখের মধ্যে মাঝারি আকারের একটি গরু কেনার ইচ্ছা রয়েছে বলেও জানান আসলাম।

২০টিরও বেশি খাসি নিয়ে বসেছিলেন কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। তার ভাষ্য, আগের দুদিন একেবারেই খাসি বিক্রি হয়নি। সকাল থেকে কিছু কিছু বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির কমলাপুর কোরবানির হাটের চিত্রও একই। বিকেলের দিকে অবশিষ্ট থাকা গরুগুলোর দাম বিক্রেতারা ছাড়ছেন না বলে জানান ক্রেতারা। তবে এ হাট থেকে কেনা গরুর দাম নিয়ে সন্তুষ্ট তারা।

কমলাপুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি শাহীন আহমেদ বিকেলে বলেন, সকালে প্রচুর ক্রেতা ছিলেন, বিক্রিও অনেক হয়েছে। তবে ক্রেতা অনুসারে হাটে এখনো পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা আরও গরু হাটে আনছেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ