ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের ১০ গোলের উৎসব

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নতুন ইতিাহাস গড়ল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। রোববার রাতে ওহাইয়ের টিকিউএল স্টেডিয়ামে বায়ার্ন ১০-০ গোলে বিধ্বস্ত করে নিউজিল্যান্ড ক্লাব অকল্যান্ড সিটিকে। এ জয়ে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত সূচনা করার পাশাপাশি ইতিহাসে পাতায় নাম তুলেছে ক্লাবটি।

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জিতল বায়ার্ন। অতীতে এই টুর্নামেন্টে এক ম্যাচে এত বেশি গোল করতে পারেনি কোনো দল। আগে একটি দল সর্বোচ্চ ৬টি গোল করার ইতিহাস আছে। ২০২১ সালে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ৬-১ গোলে হারিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল জাজিরাকে।

বায়ার্নের গোলোৎসবের দিন বদলি হিসেবে নেমে হ্যাটট্রিক উপহার দেন জামাল মুসিয়ালা। ৬৭, ৭৩ ও ৮৪ মিনিটে তিনটি গোল করেন এই তরুণ উইঙ্গার। জোড়া গোল করেন কিংসলি কোমান, মিশেল ওলিসে ও টমাস মুলার। অপর গোলটি করেন সাচা বোয়ে। খেলার প্রথমার্ধেই ৬-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। পরের অর্ধে বাকি ৪টি গোল এসেছে। অকল্যান্ডকে রীতিমতো ছেলে-খেলা করে বায়ার্ন। তাদের একের পর এক আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ক্লাবটি। তবে এ ম্যাচে পাওয়া জয়টিই বায়ার্নের নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড নয়। এক ম্যাচে তাদের ১৬ গোল করারও রেকর্ড রয়েছে। ১৯৯৭ সালে জার্মান কাপে বায়ার্ন ১৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল ওয়াল্ডবার্গকে।

ইংলিশ তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন বায়ার্নের হয়ে খেললেও গোল পাননি। তবে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে খুশি বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। তিনি জানান, ‘আমরা ম্যাচটিকে সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচটিতে আমরা ভালো শুরু করেছি। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ আসবে। এই চ্যালেঞ্জ আরো কঠিন হতে পারে।’

বায়ার্নের রেকর্ডের দিনে জিতেছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইও (পিএসজি)। তারা ৪-০ গোলে হারায় স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে। একই দিন ব্রাজিলের ক্লাব বোতাফোগো ২-১ গোলে জিতেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব সিটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে। ব্রাজিলের অপর ক্লাব পালমেইরাস ও পর্তুগালের পোর্তো এফসির ম্যাচটি গোলশূণ্য ড্র হয়।