গানে দুই বাংলার তারকার ঐকতান

বাংলাদেশের কবি ও গীতিকার ড. সাবরিনা রুবিনের নতুন গান ‘এখানেই সব কথা শেষ হোক’–এ কণ্ঠ দিয়েছেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শুভমিতা ব্যানার্জি। দেব গৌতমের সঙ্গীতায়োজনে তৈরি গানটি শিগগিরই ভারতের উল্লেখযোগ্য মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশ পাবে। দুই দেশের দুই তারকার এই সহযোগিতা ইতোমধ্যেই সংগীতজগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সাহিত্য, সংগীত এবং মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি অর্জন করেছেন ড. সাবরিনা রুবিন। রাশিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ নানা দেশে তার কবিতা, গান ও সামাজিক উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত। তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে বাংলা ও ইংরেজি—দুই ভাষাতেই লেখেন।

ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ ‘Limitless Love’ ও ‘Sudden Spring Again’ আন্তর্জাতিক পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলায় প্রকাশিত ‘নিষিদ্ধ নির্বাসন’ ও ‘বিহুঙ্গী’ বই দুটি দেশ-বিদেশের পাঠকের কাছে জনপ্রিয়। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক কবিতায় তিনি বাংলাদেশের একমাত্র লেখিকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

সংগীতেও তার পদচারণা সমানভাবে উল্লেখযোগ্য। ভারতের মালায়ালাম ও তামিল সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি; কিংবদন্তি শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা ও উষা উত্থুপও কণ্ঠ দিয়েছেন তাঁর লেখা গানে। বাংলাদেশেও তাঁর গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শুভ্র দেব ও শান শায়খ।

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন ইয়াসির আরাফাত ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাওয়ার্ড, চেকভ ব্রোঞ্জ অনার, গুজরাট সাহিত্য একাডেমি–মোটিভেশনাল স্ট্রিপস অনারসহ বহু আন্তর্জাতিক সম্মাননা। তিনি আন্তর্জাতিক মুনির মেজিয়েদ ফাউন্ডেশনের নীতিনির্ধারক কমিটির সদস্য।

অন্যদিকে ভারতের আধুনিক বাংলা গান ও গজল সংগীতে শুভমিতা ব্যানার্জি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপটের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। আধুনিক গান, গজল ও শাস্ত্রীয় সংগীতে তার কণ্ঠ সমানভাবে প্রশংসিত।

তার গাওয়া এক ডজনের বেশি অ্যালবাম এবং দুই শতাধিক টেলিসিরিয়াল ও চলচ্চিত্রের গান তাকে উপমহাদেশের অন্যতম সমাদৃত কণ্ঠশিল্পীতে পরিণত করেছে।

শাস্ত্রীয় সংগীতে বিশেষ প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল স্কলারশিপ এবং এইচএমভি গোল্ডেন ট্যালেন্ট কনটেস্টে প্রথম স্থান। ইটিভি বাংলার ‘সা থেকে সা’–তেও প্রথম হয়েছিলেন তিনি।

২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা তিন বছর তিনি টেলিসিরিয়াল বিভাগে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী নির্বাচিত হন। আনন্দবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও পেয়েছেন বহু সম্মাননা।