আইএমও কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচনের সমর্থন চেয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নৈশভোজ
ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে নয়াদিল্লিতে এক কূটনৈতিক নৈশভোজের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চাওয়া হয় বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচনের জন্য।
বাংলাদেশের চলমান কূটনৈতিক প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত এ নৈশভোজে আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা অংশ নেন।
শুক্রবার জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, নৈশভোজের উদ্দেশ্য ছিল আইএমও কাউন্সিলের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের প্রার্থিতার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করা।
বাংলাদেশ প্রথমবার ২০২৩ সালে আইএমও কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়। সে সময় ১২৮ ভোট পেয়ে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। এ ক্যাটাগরিতে বিশেষ সামুদ্রিক স্বার্থসম্পন্ন দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ৪০ সদস্যবিশিষ্ট কাউন্সিলে ভৌগোলিক ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়। কাউন্সিল বৈশ্বিক সামুদ্রিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আইএমও জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে। সংস্থাটি বৈশ্বিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণ, নিরাপত্তা ও নাবিকদের কল্যাণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে থাকে—যা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বাংলাদেশের সামুদ্রিক খাতের অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশের বন্দরগুলোর ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব তুলে ধরেন।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ শফিউল বারী বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। উপ-হাইকমিশনার প্রীতি রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে আইএমও কাউন্সিলে আসন ধরে রাখতে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা ও কৌশলগত প্রচেষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে