Views Bangladesh Logo

বারনামাকে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার

‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাবকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ’

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রভাবকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে মালয়েশিয়ার এই ভূমিকার ব্যবহার করতে চায় ঢাকা।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম বারনামাকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে বারনামা।

ড. ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়দানের অভিজ্ঞতা এবং আসিয়ানে নেতৃত্বের অবস্থান মিলিয়ে মালয়েশিয়া আঞ্চলিক এই সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়া পুরো আলোচনায় তাদের প্রভাব খাটাবে; যাতে আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারি।

এ সময় সতর্ক করে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি সৈন্যদের মাঝে চলমান সংঘর্ষ রোহিঙ্গা সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। এর ফলে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কেবল গত ১৮ মাসেই নতুন করে ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছেন। এর সঙ্গে আগে থেকেই পালিয়ে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আছেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। আরও ভয়াবহ হলো, যুক্তরাষ্ট্র তাদের (রোহিঙ্গাদের) তহবিল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল সমস্যা।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিষয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আগামী কয়েক মাসে তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। প্রথম সম্মেলনটি বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেয়ার আট বছর পূর্তির সময় চলতি মাসের শেষের দিকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে। আর তৃতীয়টি বছরের শেষের দিকে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা খুব কম অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে ২০২১ সাল থেকে মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের কারণে এটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকট কেবল বাংলাদেশকেই নয়, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রকেও প্রভাবিত করছে।

বারনামা জানিয়েছে, ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থী কনভেনশন বা এর ১৯৬৭ সালের প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী না হলেও অস্থায়ীভাবে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক ভিত্তিতে আশ্রয় দিচ্ছে মালয়েশিয়া।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ