টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর আজ

২০০০ সালের ২৬ জুন- বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক স্বপ্নপূরণের দিন। সেদিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট খেলার মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। বিশ্বের ১২৩ বছরের টেস্ট ইতিহাসে দশম দেশ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে টাইগারদের। আজ সেই ঐতিহাসিক ঘটনার ২৫ বছর পূর্ণ হলো।

১৯৯৮ সালের ১৫ জানুয়ারি আইসিসির কাছে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ। দুই বছর পর সেই স্বীকৃতি মেলে, শুরু হয় লাল-সবুজের টেস্ট যাত্রা। এই রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশজুড়ে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অনূর্ধ্ব-১২ পর্যায়ের সিক্স-এ-সাইড টুর্নামেন্ট, স্পিনার ও পেসার হান্ট, গুডলাক উইশ বোর্ড, এমনকি দর্শকদের জন্য থাকছে কমেন্ট্রি বুথের মতো আকর্ষণীয় আয়োজন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনটি হচ্ছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। সেখানে একসঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা। তাদের দেয়া হবে বিশেষ সম্মাননা ও ব্লেজার। তবে এসব আয়োজনের বাইরে রয়েছেন সেই প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান। একসময় বিসিবির পরিচালক ও সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি, কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আড়ালে চলে যান।

তবে তাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে বলেই জানালেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম। গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নাঈমুর ভাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, ফোনও করা হয়েছে।

আমিনুল নিজেও ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট খেলা দলের সদস্য এবং দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। গত মাসেই বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

প্রথম টেস্টের স্মৃতি স্মরণ করে আমিনুল বলেন, আমরা নিজেরা খুব ভাগ্যবান মনে করি, কারণ আমাদের আগের ক্রিকেটারদের অনেকেই টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। সেই সময় আমরা প্রথম দলে সুযোগ পেয়েছিলাম, সেটা একটা গর্বের ব্যাপার।

রজতজয়ন্তী উদযাপন নিয়ে বিসিবি সভাপতির ভাবনাও পরিষ্কার, ‘এটা শুধু স্মৃতিচারণ নয়, এর মাধ্যমে আমরা ক্রিকেটকে সারা দেশে আবার জাগিয়ে তুলতে চেয়েছি। বহু জায়গায় যেখানে ক্রিকেট ঘুমিয়ে ছিল, সেগুলোতে যেন প্রাণ ফিরে আসে, সেটাই লক্ষ্য ছিল। আমরা সেটা সফলভাবেই করতে পেরেছি।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটে টেস্ট যাত্রার এই ২৫ বছর নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী। কিন্তু আজকের দিনটি শুধুই গৌরবগাঁথার। যে দিন থেকে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের দীর্ঘ ও সাহসী পথচলা—লাল-সবুজের টেস্ট গল্পের প্রথম অধ্যায়।