জেন-জি আন্দোলনের কারণে নেপালে আটকা বাংলাদেশ ফুটবল দল
সরকারি দুর্নীতি বন্ধ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে নেপালে জেন-জি নেতৃত্বাধীন গণবিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে কাঠমান্ডুর হোটেলে আটকা পড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা।
সপ্তাহের শুরুতে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ নেপালের রাজধানীকে অচল করে দিয়েছে। কাঠমান্ডুর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ ঘটছে, যার জেরে শহরের কিছু অংশে কারফিউ জারি করেছে সরকার। এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দল ৩ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু পৌঁছায়। স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি মঙ্গলবার হওয়ার কথা ছিল। তবে চলমান পরিস্থিতির কারণে তাদের প্রস্তুতি ব্যাহত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টায় দশরথ স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত অনুশীলন করার কথা থাকলেও দলটি হোটেল থেকে বের হতে পারেনি। ম্যাচটি সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
নেপালের তরুণদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত, যেখানে শাসক দলের ব্যাপক দুর্নীতি ও হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে হাজারো শিক্ষার্থী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দখল করে নেয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
অনেক পর্যবেক্ষক এই আন্দোলনের সঙ্গে গত বছরের বাংলাদেশে তরুণদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন। সে আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেপালের তরুণরা অনলাইনের প্রতিবাদকে রাস্তায় নামিয়ে এনেছে রাজনৈতিক জবাবদিহি ও ডিজিটাল স্বাধীনতার দাবিতে।
পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় শুধু বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা নয়, বরং আসন্ন দিনগুলোতে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে