Views Bangladesh Logo

বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ব্যুত্থান শিখলেন ১৮ নেপালি খেলোয়াড়

Sports Desk

ক্রীড়া ডেস্ক

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর জাতীয় ক্রীড়া একাডেমিতে প্রশিক্ষণ সেমিনার করেছে বাংলাদেশ ব্যুত্থান অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে ব্যুত্থানের গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাক ইউরি বজ্রমুনির কাছ থেকে খেলাটির বিশেষ কৌশল ‘থান্ডার কিক’ শেখেন ১৮ জন কমব্যাট খেলোয়াড়।

বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ও কমব্যাট (যুদ্ধ) খেলা ব্যুত্থানের অর্থ ‘স্বতন্ত্রতা বা জাগরণের সাথে প্রতিরক্ষা’, যা আত্মরক্ষা ও ব্যক্তিগত বিকাশে জোর দেয়।

রোববারের (২১ সেপ্টেম্বর) সেমিনারে নেপালি খেলোয়াড়দের শক্তিশালী থান্ডার কিকের বিশ্ব রেকর্ড কৌশল প্রদর্শন ও শেখান বজ্রমুনি। এতে রয়েছে ক্রীড়া বিজ্ঞানের নীতি, বজ্রপ্রাণ অনুশীলন, পায়ের শক্তি ও বিস্ফোরণ শক্তি উন্নয়নের ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণের সমন্বয়। থান্ডার কিক কৌশলের পেছনের দর্শন ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির সাথেও পরিচিত হন প্রশিক্ষণার্থীরা।

নেপালের জাতীয় ক্রীড়া একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গণেশ সেমিনারটি ও গ্র্যান্ডমাস্টার বজ্রমুনির প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রশিক্ষণটি ছিল তৎপরতা, গতি ও শক্তি বাড়াতে কমব্যাটসহ যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য ‘মূল্যবান, অসামান্য ও সমৃদ্ধ অধিবেশন’।

প্রশিক্ষণার্থী খেলোয়াড়রা ঐতিহ্যবাহী নেপালি অঙ্গভঙ্গিতে গ্র্যান্ডমাস্টার বজ্রমুনিকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার দেয়া প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান গ্রহণ এবং স্বীকৃতি দেন।

আয়োজকরা বলেন, সেমিনারটি নেপালে বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ব্যুত্থান সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দুই দেশের মধ্যে আরও শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বন্ধন গড়ে তুলবে।

১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যুত্থান অ্যাসোসিয়েশন ২০১৩ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বীকৃতি পায়। ব্যুত্থানকেও সেবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সম্প্রতি, ইউনেস্কো-আইসিএমও তার অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মে ব্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে প্রাসঙ্গিক বিশিষ্ট বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট হিসাবে খেলাটির তাৎপর্যকে তুলে ধরছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ