ভুটানের সঙ্গে দুইটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য সহযোগিতা ও ইন্টারনেট সংযোগ বাড়াতে বাংলাদেশ এবং ভুটান দুইটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এসব নথি স্বাক্ষর ও দলিল বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বিষয়ে প্রথম সমঝোতা স্মারক—‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট অব হেলথ ওয়ার্কফোর্স’—স্বাক্ষরিত হয়েছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটানের রয়্যাল সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। বাংলাদেশের পক্ষে নথিতে সই করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।

দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারক—‘ট্রেড অব ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ অ্যান্ড আদার টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’—বাংলাদেশ সরকার ও ভুটান রয়্যাল সরকারের মধ্যে সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান।

এর আগে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে একান্ত বৈঠক (টেট-আ-টেট) এবং আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে তার বহনকারী ড্রুকএয়ারের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে প্রধান উপদেষ্টা তাকে স্বাগত জানান।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। এ সময় তোবগে শুক্রবারের (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

বৈঠকের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান রক্ষী বেদিতে নেয়া হয়, যেখানে তাকে ১৯ বন্দুক স্যালুট এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, যেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রাঙ্গণে একটি গাছও রোপণ করেন।

দুপুরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।