Views Bangladesh Logo
author image

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

  • থেকে

অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা
রপ্তানিপণ্য তালিকায় নতুন পণ্য সংযুক্ত না করলে ট্যারিফ যুদ্ধে পরাজিত হতে হবে
রপ্তানিপণ্য তালিকায় নতুন পণ্য সংযুক্ত না করলে ট্যারিফ যুদ্ধে পরাজিত হতে হবে

রপ্তানিপণ্য তালিকায় নতুন পণ্য সংযুক্ত না করলে ট্যারিফ যুদ্ধে পরাজিত হতে হবে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি শুল্কারোপ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। গত এপ্রিল মাসে প্রথম এ ধরনের বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তিন মাসের জন্য বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা স্থগিত রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ওপর আরোপিত শুল্কহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করে। অধিকাংশ দেশই এ ক্ষেত্রে সফলকাম হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছিল। ভিয়েতনামের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ এবং ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছিল। চীনের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ হারে বাড়তি শুল্কারোপ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য চীনের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছে।

বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি না করে শুধু সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ অসম্ভব
বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি না করে শুধু সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ অসম্ভব

বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি না করে শুধু সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ অসম্ভব

শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্যও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে পারেন; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশে স্থানীয় এবং বিদেশি কোনো বিনিয়োগই প্রত্যাশিত মাত্রায় হচ্ছে না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিবেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে; কিন্তু এ ধরনের বিনিয়োগ সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের ক্ষেত্রে খুব একটা লাভ হয় বলে আমি মনে করি না। কারণ বিনিয়োগ একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।

এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি
এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি

এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি

ম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রণীত প্রথম মুদ্রানীতি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। বর্তমান বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকালে কেমন মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয় তা নিয়ে সবারই আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। প্রায় তিন বছর ধরে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।

জনগণের অর্থনৈতিক প্রত্যাশা পূরণের পথে সরকারের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই
জনগণের অর্থনৈতিক প্রত্যাশা পূরণের পথে সরকারের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই

জনগণের অর্থনৈতিক প্রত্যাশা পূরণের পথে সরকারের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানার জন্য যে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল, সে কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে। বিভিন্ন সূত্রে শ্বেতপত্রের যেসব দুর্নীতি অনিয়মের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা যে কোনো বিবেকবান মানুষকেই আতঙ্কিত করবে। দেশের অর্থনীতির অবস্থা যে খুব একটা ভালো নয়, তা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাবার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

শেয়ারবাজারের দরপতনের রহস্য উন্মোচিত করুন
শেয়ারবাজারের দরপতনের রহস্য উন্মোচিত করুন

শেয়ারবাজারের দরপতনের রহস্য উন্মোচিত করুন

উন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি চাহিদা পূরণের জন্য উদ্যোক্তারা সাধারণত ক্যাপিটাল মার্কেটের ওপর নির্ভর করে থাকেন; কিন্তু আমাদের দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারছে না। নানা কারণেই উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে পুঁজি সংগ্রহের প্রতি বেশি উৎসাহী থাকেন না। বরং তারা ব্যাংকিং খাত থেকে তাদের কাঙ্ক্ষিত পুঁজি সংগ্রহের চেষ্টা করেন। অথচ দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির জন্য ক্যাপিটাল মার্কেট হচ্ছে সবচেয়ে উপযোগী স্থান।

রাজনৈতিক চাপের মুখে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অর্থনৈতিক সংস্কার করতে হবে
রাজনৈতিক চাপের মুখে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অর্থনৈতিক সংস্কার করতে হবে

রাজনৈতিক চাপের মুখে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অর্থনৈতিক সংস্কার করতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরবর্তী ৪ দিন কার্যত দেশ ছিল সরকারবিহীন। এই সময় এক শ্রেণির দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেনাপ্রধান তার ভাষণে বলেছেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হবে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরাও চাই প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ধ্বংসের জন্য কারা দায়ী তা নিরূপণ করে দোষিদের আইনের আওতায় আনা হোক। কোনোভাবেই যাতে দুষ্কৃতকারীরা রেহাই না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি শাস্তি না পায় বা হয়রানির শিকার না হয়।