মেসি কি পারবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ খেলতে?
১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু। উৎসব প্রতি চার বছর পর পর। ২০২৬ এর বিশ্বকাপ ফুটবলের ডাক যত সময় যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে।
১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু। উৎসব প্রতি চার বছর পর পর। ২০২৬ এর বিশ্বকাপ ফুটবলের ডাক যত সময় যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে।
যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া এখন আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামার কথা কেউ ভাবতে পারে না। প্রস্তুতি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। দেশের হয়ে যারা খেলতে নামেন তারা শিক্ষানবিস নয়। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো সামর্থ্য না থাকলে- সুযোগ মিলবে না। ফাঁক তালে সুযোগ মেলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ক্রিকেটে খেলাটার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো নিজকে তুলে ধরার সুযোগ। আর এই সুযোগ সবসময় হাতছানি দেয়।
কূটনীতির ক্রিকেট। রাজনীতির ক্রিকেট। ভারত ও পাকিস্তান অনেকগুলো বছর ধরে ক্রিকেটকে রাজনীতি এবং কূটনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ব্যবহার করছে উভয় দেশের উগ্র জাতীয়তাবাদ ‘সেন্টিমেন্টকে’। উভয় দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে ক্রিকেট তো ধর্মের সমতুল্য। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট এবং ভোটের লড়াইয়ে ক্রিকেট একটি বড় বিষয় অনেকগুলো বছর ধরে।
নারী ফুটবলের সাফল্য এখন দেশের ক্রীড়ামোদি সমাজে বিশেষ আলোচনার বিষয়। আর এটি নারী ফুটবলাররা মাঠে নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘আর্ন’ করেছেন। দেশের ফুটবলের গবেষণা কার্যক্রম নারীরা অনেক বেশি এগিয়ে আর তাই এই মনোযোগ তাদের প্রাপ্য। নারীরা ফুটবল মাঠে এসে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। নারীরা প্রমাণ করেছেন পুরুষ শাসিত ক্রীড়াঙ্গনে তাদের বিভিন্নভাবে পিছিয়ে রাখা হলেও দেশের লড়াইয়ের মঞ্চে তারা পুরুষ ফুটবলারদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে।
ক্রিকেট মাঠ এবং মাঠের বাইরে এত বেশি অক্রিকেটীয় খেলা চলছে গত কয়েক মাস ধরে, যেটি শুধু অগ্রহণযোগ্য নয় রীতিমতো নিন্দনীয়। বিষয়টি দেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটের জন্য উদ্বেগজনক। ক্রিকেট নিয়ে যারা খেলছেন, পানি ঘোলা করছেন, যারা ইন্ধন জোগাচ্ছেন তারা ধরেই নিয়েছেন এখনই সময় মতলব হাসিল করার কেননা এ ধরনের মওকা আগামীতে আর নাও মিলতে পারে। ক্রিকেট পড়েছে ঝড়ের কবলে। খেলা থেকে ক্রিকেটে এখন মানুষ চরিত্র বড়। ক্রিকেটে বাড়ছে যথেচ্ছাচারিতা। বাড়ছে প্রবঞ্চনা, অসম্মান, অপমান আর লজ্জাজনক ভূমিকা। ক্রিকেট ‘ডকুমেন্টারি’ ক্রমেই লম্বা করে চলেছেন কুশীলবরা। যারা ব্যক্তি স্বার্থে অবিবেচকের মতো ক্রিকেট নিয়ে লাফালাফি করছেন, শত্রুভাবাপন্ন বিরোধিতায় গা-ভাসিয়ে দিয়েছেন এটি ঠিক হচ্ছে না। এখন প্রয়োজন দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
গত সপ্তাহে ক্রীড়াঙ্গনে ‘জেন্ডার বৈষম্য’ শিরোনামে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমাকেও কিছু বলতে হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে যেটি উঠে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে নারী খেলোয়াড় এবং সংগঠকদের প্রতি অবিচার, বৈষম্য অবহেলা তো কমেনি বরং বেড়েই চলেছে। নারীদের সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার সীমাবদ্ধ হচ্ছে। ক্রীড়াচর্চার ক্ষেত্রে নারীরা এখনো সমাজের চোখ রাঙানোর শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজ বুঝতে পারছে দেশে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও সমান অধিকার আছে ক্রীড়াচর্চায় অংশ নেওয়ার। অধিকার আছে দেশকে ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করার। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন খেলায় সব সময় পুরুষদের প্রাধান্য এবং ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের জয় জয়কার।