‘১৫ আগস্টে দমন-পীড়ন সাংবিধানিক অধিকার হরণের উদাহরণ’
১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষকে আক্রমণ ও বাধা দেওয়ার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ গভীর ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেন, এটি কেবল রাজনৈতিক দমননীতির প্রকাশ নয়, বরং মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক অধিকার হরণের একটি জঘন্য উদাহরণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ আগস্ট শ্রদ্ধা জানানো প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু ধানমন্ডি ৩২-এ সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো, আক্রমণ ও বাধা দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট শিল্পী, লেখক, কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরও এই শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশের কারণে হুমকি, অসম্মান ও প্রকাশ্যে জুতা নিক্ষেপের মতো জঘন্য আচরণের শিকার হতে হয়েছে। সাধারণ রিকশা শ্রমিক আজিজুলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শোক প্রকাশে আসা মানুষদের বাধা দিয়ে গণগ্রেফতার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ জায়াকে প্রবেশ করতে না দিয়ে অপমান করা হয়েছে। একজন মাওলানাকে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এগুলো স্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত। শিল্পী, শ্রমজীবী মানুষ ও শহীদ পরিবারের উপর আঘাত মানে গোটা জাতির মর্যাদাকে পদদলিত করা। স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরনের অপমান ও দমননীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের দাবি:
১.ধানমন্ডি ৩২-এ হামলা ও অপমানের জন্য দায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
২.শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের উপর হামলা ও অপমানের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩.মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সকল নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৪.শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানের দায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫.বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও শোক প্রকাশে বাধা দেওয়ার ন্যাক্কারজনক কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৬.জনগণের শোক প্রকাশ, সমাবেশ ও বাকস্বাধীনতার ওপর দমননীতি বন্ধ করতে হবে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ দৃঢ়ভাবে জানায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহীদ পরিবারের প্রতি অবমাননা কখনো মেনে নেওয়া হবে না। যারা এ ধরনের দমননীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন চালাচ্ছে, তারা ইতিহাসে চিরকাল কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দমননীতি, হামলা-মামলা ও গণগ্রেফতার প্রতিহত করুন।
বিবৃতি প্রদানকারীদের নাম-
বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, শিল্পী ও চিত্রকর
বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার জামান, জুরি জাজ, জেলা আদালত, উপসালা, সুইডেন
অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ড. শ্যামল কুমার দাশ, অধ্যাপক, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, এলিজাবেথ সিটি ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
মোঃ সাদিক হাসান, উপদেষ্টা, হউকেল্যান্ড ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল, নরওয়ে
ইশতিয়াক জামিল, প্রফেসর, বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ে
আমিনুর রহমান, গবেষক, হউকেল্যান্ড ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল, নরওয়ে
সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কবি ও কথা সাহিত্যিক
পুষ্পিতা গুপ্ত, সভাপতি, সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকে
ড. রায়হান রশিদ, ট্রাস্টি, আইসিএসএফ
শেলিনা আফরোজ জামান, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক, উপসালা সিটি কাউন্সিল, সুইডেন
শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ, অধ্যাপক ও গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মিল্টন হাসনাত, কবি ও চিকিৎসক, অস্ট্রেলিয়া
ফজলুল বারি, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
অরুনা বিশ্বাস, অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক
মনিকা রউনক বাবলী, সঙ্গীত শিল্পী
সাদিকা ইয়াসমিন রচনা, সঞ্চালক, প্রোগ্রাম প্রযোজক ও অ্যাক্টিভিস্ট
তূর্য কাজী, ফ্রিল্যান্স শিল্পী
অর্জুন মান্না, সম্পাদক, nenews.news
জাসমিন চৌধুরী, সোশ্যাল জাস্টিস ক্যাম্পেইনার
রানা মেহের, সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
তমাল মাহবুব, অভিনেতা ও পরিচালক
আদিবা জাহান, সমাজকর্মী, ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রিয়াঙ্কা এলফফ্রস্ট, সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার
ড আব্দুল আউয়াল, গবেষক
ওমর সেলিম শের
মুস্তফা কায়েস ইমন, কানাডা প্রবাসি
লেখক আহমেদ মনসুর
কবি ও নাট্যকার সায়েম উদ্দিন
গল্পকার শানেজুল ইসলাম
ফটোসাংবাদিক আমিনুল ইসলাম
লেখক মহুয়া ভট্টাচার্য
লেখক নাসির উদ্দীন হায়দার
হাসান নাসির
কবি কানিজ ফাতেমা চৌধুরী
ফটোসাংবাদিক জুয়েল শীল
জাকিরুল হক টিটন, সম্পাদক ও প্রকাশক, খবরওয়ালা (বাংলা ও ইংরেজি)
মোঃ মনিরুজ্জামান, সংগঠক ও চিত্রশিল্পী
বাণী ইয়াসমিন, সম্পাদক, বিবার্তা
খন্দকার ইসমাইল, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
খোর্শেদুল আলম খোশরু, চলচ্চিত্র প্রযোজক
অনামিকা প্রিয়ভাসিনি, মানবাধিকার কর্মী
মুশফিক গুলজার, চলচ্চিত্র নির্মাতা
শাহ আলম কিরণ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
ড. মাসুদ পথিক, কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
সায়মন সাদিক, চিত্রনায়ক
তৌফিক মারুফ, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশ্লেষক
আল আমীন বাবু, সংগঠক ও সঙ্গীত শিল্পী
নাহার মমতাজ, সভাপতি, সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু ফাউণ্ডেশন, সুইডেন
ভায়োলেট হালদার, সম্পাদক ও প্রকাশক, সময়ের শব্দ
মুরাদ খান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, র্যাপিড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড, নেদারল্যান্ডস
শায়লা আহমেদ লোপা, সমাজকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী
ফেরদৌসী হাসান, সমাজকর্মী
দীপান্বিতা রায় মার্টিন, সঞ্চালক ও গণমাধ্যমকর্মী
তুহিন দাস, কবি, আমেরিকা
সাইফ সামস, ইঞ্জিনিয়ার, নরওয়ে
মাহবুবুল হক, গণমাধ্যমকর্মী
অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য, নাট্যকর্মী, চাকুরিজীবী
কুতুব হিলালী, কবি ও সাহিত্যকর্মী, সম্পাদক, বাংলালিপি
এলবার্ট খান, নির্মাতা ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, সদস্য "বঙ্গবন্ধু কালচারাল & রিসার্চ ফাউন্ডেশন" (ভারত-বাংলাদেশ)
জামশেদ শামীম, অভিনেতা
জুটন চন্দ্র দাস, নির্মাতা
কবি কামরুল হাসান বাদল
লেখক ও সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী
ছড়াকার এমরান চৌধুরী
কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ
লেখক নীলিমা শামীম
লোকসাহিত্য গবেষক সামশুল আরেফিন
কবি শহীদুল আলীম
রহমান রনি
প্রাবন্ধিক শোয়েব নাঈম
লেখক ও সাংবাদিক রাজীব শীল
সাংবাদিক ঋতিক নয়ন
সংগঠক যিকরু হাবিব ওয়াহেদ
রাহুল দাশ নয়ন
অভিনেতা গাজী গোফরান
বিবৃতি প্রকাশক:
বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, কবি, সাংবাদিক, লেখক, অভিনেতা, মানবাধিকারকর্মীসহ দেশের ও বিদেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা (সম্পূর্ণ তালিকা সংযুক্ত)
বিবৃতির পক্ষে ছিলেন ছিলেন,রোকেয়া প্রাচী, (আহবায়ক)এফ এম শাহীন(সদস্য সচিব)।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে