সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ে হামলা: পারভেজ রিমান্ডে, জয়নাল কারাগারে
রাজধানীর মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কার্যালয় ও মালিকের বাসায় হামলা চালিয়ে সাতজনকে আহত করার ঘটনায় মো. পারভেজ নামে এক যুবককে এক দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় জয়নাল আবেদিন নামে আরেকজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত এ আদেশ দেন।
এ দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পারভেজের ৫ দিনের রিমান্ড ও জয়নাল আবেদিনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। পরে আদালত পারভেজের এক দিন ও জয়নালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক জিন্নাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মালিবাগে বুধবার রাত ১১টা ৭ মিনিটের দিকে সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ের সামনে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় চাপাতি, ছুরি ও রড নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। হামলাকারীদের সঙ্গে আসা কয়েকজন হাতে তালি দিয়ে উল্লাস করছিলেন। তারা সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে হামলাকারীদের সোহাগ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে ঢুকে এক কর্মীকে মারধর করতে এবং ড্রয়ার থেকে টাকার বান্ডিল নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এই ঘটনায় সোহাগ গ্রুপের নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. আল আমিন বাদী হয়ে গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা বিল্লালসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৮-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে এজাহারভুক্ত আকাশ ও রুমন ধূমপান করছিলেন। সোহাগ পরিবহনের তিন কর্মচারী তাদের সরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে প্রধান আসামি বিল্লালের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সোহাগ পরিবহনের মালিকের বাড়ির গ্যারেজের সামনের নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষের কাচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় সোহাগ কোম্পানির মালিকের ভাই ও কোম্পানির পরিচালক আলী হাসান তালুকদার, তার গাড়িচালক মাসুদ, কোম্পানির কর্মী হাসান তপন, ফরহাদ হোসেন, নাইমুর রহমান আদিব ও মাসুদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা সোহাগ পরিবহনের দুটি কাউন্টারে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তারা দুটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রির ১৭ হাজার ৫৭০ টাকা লুট করেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে