Views Bangladesh Logo

কেরানীগঞ্জে যুবদল নেতার নির্বাচনী মঞ্চে হামলা, আহত ১০

কেরানীগঞ্জে বিএনপির যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ঢাকা-৩ আসনের প্রার্থী রেজাউল কবির পলের নির্বাচনী মঞ্চে হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে জিনজিরা মেইন রোডের ফ্যামিলি শপিং মলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ৫০ থেকে ৭০ জনের একটি সশস্ত্র দল মঞ্চটি ভাঙচুর করে, গুলি ছুড়ে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ দারা মেম্বার, তুহিন মিয়া, টিটু আহমেদ এবং আউলাদ হোসেন রয়েছেন।

জানা গেছে, রেজাউল কবির পল এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেলে নিপুণ রায় চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য জিনজিরা ঈদগাহ ময়দানে একটি দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কাউন্টার প্রোগ্রাম ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে রেজাউল কবির পলের সমর্থকরা একই স্থানে তাদের প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার পর তারা অনুষ্ঠানটি ফ্যামিলি শপিং মলের সামনে সরিয়ে নেন।

রেজাউল কবির পল সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতে পারেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যেকোনো স্থানে প্রোগ্রাম করতে পারেন। আমি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুন রায় চৌধুরীও জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে কর্মসূচি দেন। আমি তা মেনে নিয়ে ভিন্ন স্থানে কর্মসূচি দিলেও সেখানে হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টার পরও এ বিষয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু বলেন, জিনজিরা সমাবেশ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। জিনজিরা ঈদগাহ ও বাসরোডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ