আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ দিয়ে কাল শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ
মঙ্গলবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৭তম আসর। এবারের আসরের স্বাগতিক দেশ ভারত হলেও রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান তাদের প্রতিবেশী দেশটির মাটিতে খেলতে রাজি না হওয়ায় খেলার ভেন্যু সরিয়ে নেয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও হংকং। আগামী বছরের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এবারের এশিয়া কাপের যাত্রা জয় দিয়ে শুরু করতে চায় শক্তিশালী আফগানিস্তান। অন্যদিকে, এশিয়া কাপে নিজেদের ইতিহাসে হারের বৃত্ত ভেঙ্গে প্রথম জয়ের লক্ষ্য হংকংয়ের।
টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে থাকা আফগানিস্তান ও হংকংয়ের মধ্যকার ম্যাচটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হবে। এই গ্রুপের অন্য দুই দল বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা।
এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেবে ৮টি দল। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ২০২৪ সালে এসিসি প্রিমিয়ার কাপে শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকা- স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং হংকং। অংশ নেয়া ৮টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে এবারের এশিয়া কাপ মাতাবে। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে-ভারত, পাকিস্তান, আরব আমিরাত ও ওমান। ‘বি’ গ্রুপে- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। ১৯ সেপ্টেম্বর শেষ হবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সুপার ফোর পর্ব। সুপার ফোরে একবার করে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে দলগুলো। সুপার ফোরের সেরা দুই দল টিকিট পাবে ফাইনালের।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। এবারের এশিয়া কাপে মোট ১৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে ৮টি এবং দুবাইয়ে ১১টি ম্যাচ রাখা হয়েছে। আসরের ১৮টি ম্যাচ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় এবং একটি ম্যাচ সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে। এশিয়া কাপে এ পর্যন্ত রেকর্ড আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সর্বশেষ ২০১২ সালে শিরোপা জিতেছিল । তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা। এরমধ্যে প্রথমবার পাকিস্তানের কাছে এবং পরের দু’বার ভারতের কাছে ফাইনাল হারে বাংলাদেশ। এবারের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি। রানার্স-আপ দল পাবে দেড় লাখ ডলার।
এদিকে, ২০১৪ সাল থেকে এশিয়া কাপ খেলছে আফগানিস্তান। একবারও ফাইনাল খেলতে পারেনি আফগানরা। দলটির সেরা সাফল্য সুপার ফোরে খেলা। ২০১৮ ও ২০২২ আসরে সুপার ফোরে খেলেছে তারা। এবার সুপার ফোরের বাঁধা টপকে ফাইনালে খেলতে বদ্ধপরিকর আফগানরা। অপর দিকে ২০০৪ আসরে প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে নামে হংকং। এরপর আরও তিনবার- ২০০৮, ২০১৮ ও ২০২২ সালে এশিয়া কাপ খেলেছে তারা। এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের মঞ্চে কোন জয়ের দেখা পায়নি হংকং। সর্বমোট ৮ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে তারা। তবে এবারের এশিয়া কাপেই হারের বৃত্ত ভেঙ্গে প্রথম জয়ের স্বাদ নিতে চায় হংকং।
আফগানিস্তান: রশিদ খান (অধিনায়ক), রাহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, ডারউইশ রাসুলি, সেদিকুল্লাহ আতাল, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, শারাফুদ্দিন আশরাফ, মোহাম্মদ ইসাক, মুজিক উর রহমান, এএম গাজানফার, নুর আহমেদ, ফরিদ আহমেদ, নাভিন-উল-হক, ফাজালহক ফারুকি।
হংকং: ইয়াসিম মুর্তজা (অধিনায়ক), বাবর হায়াত (সহ-অধিনায়ক), জিশান আলি (উইকেটরক্ষক), শহীদ ওয়াসিফ (উইকেটরক্ষক), নিয়াজাকাত খান মোহাম্মদ, নাসরুল্লাহ রানা, মার্টিন কোয়েটজি, আংশুমান রাঠ, এহসান খান, কালহান মার্ক, আয়ুশ আশিষ শুক্লা, মোহাম্মদ আইজাজ খান, আতিক উল রেহমান ইকবাল, কিঞ্চিত শাহ, আদিল মাহমুদ, আনাস খান, হারুন মোহাম্মদ আরশাদ, আলি হাসান, গাজানফার মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ওয়াহিদ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে