গোপালগঞ্জের ঘটনায় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়: আইএসপিআর

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গোপালগঞ্জের ঘটনায় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সংস্থাটির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে গোপালগঞ্জে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং প্রশাসনের জারি করা কারফিউ চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে ধৈর্য ধারণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি রাজনৈতিক দলের ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে আহ্বান করা জনসমাবেশকে ঘিরে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এতে পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

পরিস্থিতির অবনতির পরপরই সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু সমাবেশ চলাকালে আবারও মঞ্চে হামলা চালানো হয় এবং একই সঙ্গে জেলা কারাগারে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী হামলাকারীদের বারবার মাইকে সতর্ক করে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও তারা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। পরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের খুলনায় স্থানান্তর করা হয়।

আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ এবং প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সকাল থেকে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন। গুজব ও অপপ্রচারে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সদা প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।