Views Bangladesh Logo

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে টিনসেড ঘরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এক মাস বয়সী শিশু ও তার নানীর মৃত্যুর পর এবার মারা গেলেন শিশুটির বাবা হাসান গাজী (৪০)। এ নিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হলো।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন সুলতান মাহমুদ শিকদার।

তিনি বলেন, ‘হাসান গাজীর শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’

তিনি জানান, গত রোববার ভোরে মারা যায় হাসান গাজীর এক মাস বয়সী শিশু সন্তান ইমাম উদ্দিন। সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান তার শাশুড়ি তাহেরা আক্তার (৫৫)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মারা গেলেন হাসান গাজী নিজেও।

চিকিৎসক সুলতান মাহমুদ শিকদার আরও জানান, হাসান গাজীর চার বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত, স্ত্রী সালমা (৩৫) ও শ্যালিকা আসমাকে (৩২) আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরেরও প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী সিআইখোলা এলাকার রনি সিটি সংলগ্ন জাকির খন্দকারের টিনসেড বাড়ির একটি ভাড়াটিয়া কক্ষে। তখন ঘুমিয়ে ছিলেন নয়জন। হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, তিতাসের গ্যাস লিকেজই এ দুর্ঘটনার মূল কারণ।

তাদের দাবি, সেই বাড়ির নিচ দিয়ে মোটা গ্যাসের পাইপ আছে। সেই পাইপের লিকেজ থেকে বহুদিন ধরে ওই এলাকায় গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল এবং আগেও একই কারণে ছোট অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল।

স্থানীয়রা বলছে, যেই ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের কথা বলা হচ্ছে। সেই ফ্রিজ ও কম্প্রেসার এখনও অক্ষত রয়েছে। যদি সেই ফ্রিজের কম্প্রেসারে বিস্ফোরণ ঘটতো তাহলে ফ্রিজটি এখনো অক্ষত রয়েছে কিভাবে?

তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের পর্যবেক্ষণে কোনো গ্যাস লিকেজ পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসও গ্যাস বিস্ফোরণের প্রমাণ পায়নি, তবে অধিকতর তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ