আমদানি করা সব পণ্য আগুনে ধ্বংস হয়েছে: বিমান উপদেষ্টা
আমদানি করা যত পণ্য ছিল সব আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। তবে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সেটা খাতভিত্তিকভাবে নির্দিষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুড়ে যাওয়া কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমাদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগুনের পূর্ববর্তী এবং বর্তমান অবস্থান পুরো ঘটনা অনুসন্ধান করবে। তারপর অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সব তদন্ত সংস্থার সবাইকে একত্র করে এ রহস্য উদঘাটন করব।'
উপদেষ্ট আরও বলেন, যত ধরনের অভিযোগ আছে, প্রত্যেকটা অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। এখানে কারো কোনো ব্যত্যয় আছে কিনা সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন যেসব পণ্য আসছে, সেসব পণ্য সরবরাহে যাতে কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগামী সাত দিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করবো। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ইন্সুরেন্স কভারেজ কী আছে এবং আমাদের বিমানবন্দরের ইন্সুরেন্স কাভারেজ কী আছে সবকিছু আমলে নিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হব।
গতকাল ২১টির মতো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে জানিয়ে, এসব ফ্লাইটের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আগামী তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের সব ধরনের চার্জ মওকুফ করেছে সরকার বলে জানান শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের করণীয় নির্দিষ্ট করার জন্য আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল রাত ৯টা নাগাদ এয়ারপোর্ট চালু করা, আমরা সেটা করতে পেরেছি। তবে প্রায় ২১টার মতো ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল। যাত্রী সাধারণের কষ্ট লাঘব করার জন্য আমরা একটা অর্ডার ইস্যু করেছি। যার মাধ্যমে আগামী তিন দিন যত নন-শিডিউল ফ্লাইট আসবে, তার সমস্ত খরচ আমরা মওকুফ করে দেব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘২ দিন ধরে যে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে তার মাশুল সরকার মওকুফ করে দেবে।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে