রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলার সব আসামি খালাস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে এ রায় দেন রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক জুলফিকার উল্লাহ।
চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির মোট ১১৪ জন আসামির সবাই ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। মামলার আসামিদের মধ্যে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাও ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম জানিয়েছেন যে, সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
১১৪ জন আসামির মধ্যে নয়জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। বাকি ১০৫ জনের মধ্যে ২৫ জন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের কাছে ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। পরদিন ক্যাম্পাস থেকে একটি ম্যানহোলের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে ৩৫ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
প্রায় আড়াই বছর পর ২০১২ সালের ২৮ জুলাই আদালতে ১,২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। এতে জামায়াতের তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, তৎকালীন রাজশাহী মহানগর আমির আতাউর রহমান, রাবি শাখা শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, নওয়াব আব্দুল লতিফ হল শাখার সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হাবিবুর রহমান হল শাখার সভাপতি রায়জুল ইসলাম এবং শিবির কর্মী রুহুল আমিন ও বাপ্পিসহ মোট ১১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে