চট্টগ্রামে পুলিশ দেখেই আ. লীগ সমর্থক দোকানির মৃত্যু

চট্টগ্রামের খুলশীতে স্ট্রোক করে লাল মিয়া (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মামলা ছাড়া পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি পুলিশের সামনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান।

রোববার (২ মার্চ) বিকেল ৪টায় নগরের খুলশী থানাধীন গরীব উল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া লাল মিয়া একজন মুদি দোকানি। তিনি ওই এলাকার মৃত আবদুস সোবহানের ছেলে। তার ভাই শাহজাহান কোম্পানি একজন পদধারী আওয়ামী লীগ নেতা।

লাল মিয়ার ছেলে রকিবুল হাসান বলেন, রোববার আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করতে আসরের নামাজের পর ওনার মুদি দোকানে খুলশী থানার এক দল পুলিশ আসে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে নানারকম জেরা করে তাকে দোকান থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। এমন সময় বাবা কাঁপতে থাকেন। তিনি রোজা অবস্থায় ছিলেন এবং এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। আমরা বাবাকে উদ্ধার করে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি হার্টএ্যাটাক করেছেন।

কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিকদার বলেন, নিহত লাল মিয়া আফান আওয়ামী লীগ করেন কিন্তু কোনো ভেজালের মধ্যে নাই। তার বিরুদ্ধে মামলা তো দূরের কথা, জিডিও নেই। তবে তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা। খুলশী থানার এসআই রবিউল ইসলাম রোববার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করতে এলে তিনি হার্টঅ্যাটাক করেন।

তিনি আরও বলেন, লাল মিয়া আফান বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম শাহ আলমের ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাকে দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি বরিশালে নিয়ে যাওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান কাওসার বলেন, নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নেই। তবে সেখানে অন্য একজন ওয়ারেন্টের আসামি ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করতেই আমাদের টিম কুসুমবাগে গিয়েছিল। ওনাকে (লাল মিয়া) গ্রেপ্তার করতে যায়নি পুলিশ। ওনাকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইতেই ওনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।