প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা বিঘ্নিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ অবিলম্বে কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষা গ্রহণসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। অন্যথায় চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান, চাকরি পূর্ণ হওয়ার পর উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি, এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ আগস্ট সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের জন্য জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫-কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া, পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণের পরও কিছু সংগঠন বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে, পরীক্ষায় ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে ঝুঁকি তৈরি করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইনের পরিপন্থি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে