শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩০৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করছে দুদক

মেঘনা-গোমতী সেতুতে ইজারায় টোল আদায়ে ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেডকে টোল আদায়ের সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রের ওই পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধনেরও অভিযোগ আনা হচ্ছে।

মামলায় অন্য যাদের আসামি করা হতে পারে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলীল ও সাবেক উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল ও ইবনে আলম হাসান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব হোসেন খান ও মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

রোববার (১২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ জানান, অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শনিবার (১১ অক্টোবর) কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে মামলাটি করার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধান কার্যালয়।

দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটিতে অভিযোগ করা হচ্ছে, ২০১৬ সালে মেঘনা-গোমতী সেতুতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডকে ১৭.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ (ভ্যাট ও আইটি ছাড়া) ৫ বছর মেয়াদে টোল আদায়ের কার্যাদেশ দেন আসামিরা। এভাবে তারা পরস্পরের যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে কিংবা অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে না পালন এবং সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মোট ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯০ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এই মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আসামি করা হবে বলেও জানান দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির।