আবু সাঈদ হত্যা: ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। এতে সাবেক পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক কর্মীসহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) আনুষ্ঠানিক চার্জশিট জমা দেয়া হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে আরও ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন, বিএম সুলতান মাহমুদ ও এস এম মঈনুল করিম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রাশেদুল হক খোকন ও দিলওয়ার হোসেন সোহেল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় সরাসরি গুলি চালান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরীফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ সহিংসতা উসকে দেন এবং হামলায় সহায়তা করেন। এই চারজন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

গত ১৫ জুনের শুনানিতে ২৬ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ১৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে গণআন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

পরে আবু সাঈদের মৃত্যুর ভিডিও প্রকাশ পায়। যেখানে দেখা যায়, তিনি দুই হাত তুলে আত্মসমর্পণ করলেও গুলি করা হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং পরদিন থেকেই শুরু হয় সর্বাত্মক আন্দোলন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ১৯ জুলাই কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করলেও লাগাতার বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।

সরকারি হিসেবে, ওই আন্দোলনে প্রায় ৮৫০ জন নিহত হন। সাবেক সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাগুলো এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।