রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর দাবি
আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে মারা গেছেন আবু সাঈদ
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন পলাতক আসামিদের পক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ইশরাত জাহান।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় পুলিশ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিককে জেরা করা হয়। নূরে আলম জানান, তিনি হত্যাকাণ্ডের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের ভেতরে ছিলেন এবং এসি আরিফুজ্জামানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী ইশরাত জাহান প্রশ্ন করেন, গুলি ও হামলার সরাসরি নির্দেশ রংপুর কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন এসি আরিফুজ্জামান এবং তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম দিয়েছিলেন কি না। নূরে আলম সাক্ষ্য দেন, গুলি চালানোর নির্দেশ তারা দিয়েছিলেন। তবে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন তাঁকে হত্যার পেছনে কোনও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশ ছিল না। বরং আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলেই তিনি আহত হয়ে রক্তক্ষরণে মারা যান।
নূরে আলম সেদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনার বিবরণ ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তৎকালীন কর্মকর্তারা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন এবং পরে ছাত্র-জনতা অন্য দিকে চলে যায়। সাক্ষ্যগ্রহণের এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা কিছু সংশোধনীও দিতে চান, যেখানে শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতি উল্লেখ করেছেন।
এই মামলায় ইতিমধ্যে ৬ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার ২৭ আগস্ট শুরু হয়। তবে ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে