চাঁদাবাজির মামলায় চার ছাত্রনেতার সাত দিনের রিমান্ড
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে পাঠানো অপর তিন আসামি হলেন—সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
আদালতে তোলার সময় আদালত প্রাঙ্গণে ‘চাঁদাবাজ’ ‘চাঁদাবাজ’ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। এই শব্দ শুনে মাথা নিচু করে থাকেন গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রনেতারা।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ৯১ নম্বর সড়কের একটি বাসায় সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের স্বামীর কাছে গিয়ে পাঁচ যুবক নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর আগে, তারা ওই বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন বাদী। শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা পুনরায় বাসায় গিয়ে স্বর্ণালঙ্কার চাইলে, বাসার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করে।
পরবর্তীতে শাম্মীর স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। ছয়জনকে আসামি করা হয় মামলায়। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন—কাজী গৌরব অপু (পলাতক) এবং ১৫ বছর বয়সী শিশু আমিনুল ইসলাম, যার বিচার শিশু আদালতে হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশান-২ এর বাসায় গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। অপারগতা প্রকাশ করলে বাদীকে 'সরকারবিরোধী' এবং 'স্বৈরাচারের দোসর' বলে আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। এতে ভীত হয়ে বাদী তাদের ১০ লাখ টাকা দেন।
এরপর ১৯ জুলাই বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য আবারও গিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন তারা। সর্বশেষ ২৬ জুলাই চাঁদা তুলতে গেলে তাদের আটক করা হয়। এ সময় কাজী গৌরব অপু পালিয়ে যান।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে