মুরাদনগরের ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদাললের ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মুমিনুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন—মুরাদনগরের বাহেরচর এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করার সময় আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করে তাদের কারাগারে পাঠান।
এদিকে, মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গভীর রাতে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে অবস্থানকালে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ফজর আলী (৩৮) একই এলাকার বাসিন্দা।
ধর্ষণের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। পরদিন শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তিনি দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত চারজনকে এবং ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকেও গ্রেপ্তার করে।
তবে এ ঘটনাকে ঘিরে ভিন্নমতও উঠে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত ফজর আলীর মধ্যে পূর্বে থেকেই পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকনও নিশ্চিত করেছেন, তিনি বলেন, ‘দুইজনের সম্পর্ক নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আগে থেকেই নানা আলোচনা ছিল।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে