ঢাকার ২১ লাখ ভবন এখনই পরীক্ষা প্রয়োজন: অধ্যাপক আনসারী
রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শুক্রবার সকাল ১০:৩৮ মিনিটে আঘাত হানা ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প দেশের জনগণকে আতঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেছেন, এটি ভবিষ্যতের বড় ভূমিকম্পের একটি সতর্ক সংকেত।
অধ্যাপক আনসারী জানিয়েছেন, ঢাকার প্রায় ২১ লাখ ভবনের অবস্থা এখনই পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকারের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করেও রাজউকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জানিয়ে ভবনগুলো চেক করে সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব।
ভূমিকম্পের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত ঢাকায় নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ৬ জন নিহত হয়েছেন । আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ভবনের দেয়ালে ফাটল, হেলে পড়া ও পলেস্তরা খসে পড়ার খবর এসেছে। অধ্যাপক আনসারী এটিকে একটি ফোরশক হিসেবে দেখছেন, যা বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।
ঢাকায় ২১ লাখ বাসার মধ্যে ১৫ লাখ একতলা বা দোতলা, চার থেকে ছয় তলা প্রায় ৬ লাখ এবং দশতলা বা তার বেশি ভবন রয়েছে। তিনি রানা প্লাজা ধসের উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি বড় ভবন ধসে যে ক্ষতি হতে পারে তা পূর্বাভাসযোগ্য।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তা মেরামত ও সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় তিন রঙের মাধ্যমে ভবনগুলোর ঝুঁকি শ্রেণিবদ্ধ করা হবে। অধ্যাপক আনসারী জানিয়েছেন, আমেরিকা, ভারত ও জাপানে ভূমিকম্পের আগে এমন ক্যাটাগরি করা হয় এবং বাংলাদেশেও তা প্রয়োগ করা যেতে পারে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে