হাদির ওপর হত্যাচেষ্টায় আরও দুইজন গ্রেপ্তার
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন, সিবিয়ন দিও এবং সঞ্জয় চিসিম।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) এসএন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি অভিযান চালিয়ে দুইজনকে ঢাকায় আনে। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
নজরুল ইসলাম আরও জানান, শুটিংয়ের দুই মূল সন্দেহভাজন হলেন, ফয়সাল করিম মাসুদ ও মো. আলমগীর শেখ।
তিনি বলেন, "এই দুই সন্দেহভাজন হেলমেট পরে শরিফ ওসমান হাদির ওপর কাছ থেকে গুলি চালায়। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
পুলিশি কর্মকর্তার কথায়, সন্দেহভাজনদের দেশ ত্যাগ রোধে তাদের পাসপোর্ট জব্দ ও ব্লক করা হয়েছে, পাশাপাশি সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সরকার অভিযুক্তদের ধরার তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
এর আগে, র্যাব হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নিবন্ধিত মালিক হিসেবে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। আবদুল হান্নান (৪৩) নামে ঐ ব্যক্তিকে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক উইং কমান্ডার এমজেডএম ইন্তেখাব চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর হলো ঢাকা মেট্রো-এল-৫৪-৬৩৭৫।
বর্তমানে শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে এখনও আশঙ্কামুক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, হামলাটি ঘটে শুক্রবার দুপুর ২:২৪ মিনিটে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায়। একজন দুষ্কৃতকারী মোটরসাইকেল থেকে ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায়, যা তার পেছন থেকে একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা অনুসরণ করছিল।
হাদিকে হামলার পর দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দুপুর ৩:৫০ মিনিটে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭:৩০ নাগাদ, অপারেশনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ডিএমসিএইচ-এর স্নায়ু বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ রায়হান সাংবাদিকদের জানান, হাদির অবস্থা “অত্যন্ত সংকটাপন্ন।”
পল্টন থানা, র্যাব, ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিট হামলায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত ও অভিযান চালাচ্ছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে