Views Bangladesh Logo

‘শতভাগ বিদ্যুতায়িত’ ছাতকে বিদ্যুৎহীন ১৫০ পরিবার!

‘শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা’ ঘোষণার পাঁচ বছর পরেও বিদ্যুৎবঞ্চিত সুনামগঞ্জের ছাতকের ১৫০টি পরিবার। পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সব ধরনের যন্ত্রপাতি বসিয়েও সংযোগ না দেয়ার অভিযোগ ইসলামপুর ইউনিয়নের জামুরা এমদাদনগর গ্রামের ওই পরিবারগুলোর।

গ্রামটির প্রায় ৫০০ বাসিন্দা বলছেন, তাদেরকে অন্ধকারে রেখেই ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ছাতককে ‘শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা’ ঘোষণা করে সরকার। প্রশাসনিক জটিলতা দেখিয়ে বিদ্যুতায়নে বারবারই সময়ক্ষেপণ করছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।

প্রবীণ গ্রামবাসী সুরুজ আলী জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে প্রায় তিন বছর আগেই তার, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং সার্ভিস ড্রপ ও মিটারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও অবহেলায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে সেগুলো। এতে গচ্চার পথে সরকারের কয়েক লাখ টাকা।

আরেক বাসিন্দা লোকমান আহমদের অভিযোগ, ‘শহর থেকে দূরে থাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছি না। পল্লীবিদ্যুৎ কতৃর্পক্ষ আমাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করছে। তারা লাইন টেনেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় অন্ধকারে অবহেলায় পড়ে আছি। অথচ, তাদের কাছেই দাবি জানানো ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই’।

গ্রামবাসীর দাবি, বিদ্যুৎ না থাকায় পানিসেচের অভাবে পতিত পড়ে আছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। গ্রামটি বিদ্যুতায়িত হলে উপকৃত হবেন সুবিধাবঞ্চিত লোকজন। বিদ্যুতে আলোকিত হয়ে সমাজে ভূমিকা রাখতেও পারবেন অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অবহেলিত পিছিয়ে পড়া এসব গ্রামবাসী।

সমস্যাটির সমাধানে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর সুনামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত আবেদন জানান ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ ছালিক মিয়া। ১৯ মে সুনামগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতেও অভিযোগ দেন গ্রামবাসী।

সব বারই বিষয়টির দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও রক্ষা করেনি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ক্ষুব্ধ ও হতাশ গ্রামবাসীর অভিযোগ, এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ-খবরও নেননি কর্মকর্তারা।

দোয়ারাবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুর রশিদ বলেন, ‘গ্রামটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয়ক সব কাগজপত্র নিয়ে অফিসে এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো’।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ