ড. আবুল বারকাতের মুক্তি চেয়ে বিশিষ্ট ১২২ নাগরিকের বিবৃতি
অর্থনীতিবিদ, গবেষক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে অবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ১২২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। মানবিক দিক বিবেচনায় এনে রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ড. আবুল বারকাতকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ‘আমরা তার সরল ও নির্মোহ জীবনযাপন সম্পর্কে অবগত। তাই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ৭২ বছর বয়সী অধ্যাপক বারকাত দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, স্ট্রোক-পরবর্তী জটিলতা, ফুসফুসের সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তাকে দৈনিক তিন বেলা ওষুধ সেবন করতে হয় এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। এর আগে তিনি দু'বার নিউমোনিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
তার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশিষ্ট নাগরিকরা মানবিক বিবেচনায় তাকে অবিলম্বে জামিনে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, অধ্যাপক এম এম আকাশ, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের ভিজিটিং প্রফেসর স্বপন আদনান, অধ্যাপক মোনাওয়ার উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হোসেন, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খীসা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, নারী অধিকার কর্মী শিরিন হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক নাজমা বেগম, অধ্যাপক শামসুন নাহার আহমেদ, অধ্যাপক মাসুদা ইয়াসমিন, অধ্যাপক সেলিম রায়হান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, অধ্যাপক সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ ও সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান।
এতে আরও সই করেন, বেলার প্রধান নির্বাহী তসলিমা ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. লোপামুদ্রা মালেক, সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিহা ইয়াসমিন রোজী, সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, সহকারী অধ্যাপক এস এম ইমরান হোসেন, সহকারী অধ্যাপক তামান্না রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম রেজাউল করিম চৌধুরী, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, মানবাধিকার কর্মী সাঈদ আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, চলচ্চিত্র নির্মাতা এফ এম শাহীন, অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন প্রমুখ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে