এক বছরে উদ্ধার হয়েছে ১০৭ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭৩৯৪ গোলাবারুদ: র্যাব
ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযানে ১০৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭৩৯৪ রাউন্ড গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে র্যাব-১০।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লে. কমান্ডার তানভীর হাসান ও সিনিয়র পুলিশ সুপার (মিডিয়া) তাপস কর্মকার।
তারা বলেন, মঙ্গলবার রাতে কেরানীগঞ্জ নেকরোজবাগ এলাকা থেকে মো. সাহিদ নামে একজনকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি, চাইনিজ কুড়াল, সুইচ গিয়ার চাকু, ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার হয়। পরে চাঁদপুরে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি পিস্তল ও গুলি।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি সিমেন্টের দোকান থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেখানো স্থান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৩১ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি অবিস্ফোরিত সাউন্ড গ্রেনেড। এছাড়া চারটি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, কেরানীগঞ্জ থেকে ১১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন মাঝিগাছা এলাকার একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরের পাশে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, সেগুলো পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা নিচিন্তাপুর শরিফবাগ এলাকা থেকে সাধন সরকার ওরফে সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তার দেখানো সিমেন্টের দোকানের ভেতর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট বিকালে যাত্রাবাড়ী বিবির বাগিচা এলাকা থেকে ৪টি অবিস্ফোরিত সাউন্ড গ্রেনেডসহ ফয়সাল খানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব–১০। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে গত ১ সেপ্টেম্বর ডেমরা থেকে আরও ৪টি অবিস্ফোরিত সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের নামে একাধিক মারামারি ও মাদক মামলা রয়েছে। সব আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১০ অধিনায়ক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ১০৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৭ হাজার ৩৯৪টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের উৎস ও ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে