নরসিংদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
নরসিংদীতে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার মুরাদনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন মো. ইদন মিয়া (৬০), মুরাদনগর এলাকার বাসিন্দা। গুলিবিদ্ধ হওয়া আহতদের মধ্যে মোস্তাকিম (৩০) ও আবুল হোসেন (৬০)কে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে গেলে এলাকায় বিএনপির দুটি পক্ষ সক্রিয় হতে দেখা যায়। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী, আরেক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম মিয়া। কাইয়ুম মিয়া মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলাসহ নানা অভিযোগের কারণে সম্প্রতি দলীয় পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে তার সক্রিয়তা শাহ আলমের পক্ষ মানতে পারছিল না।
অভিযোগ আছে, কাইয়ুমকে ঠেকাতে শাহ আলম চৌধুরীর ইন্ধন ও হস্তক্ষেপে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আবার এলাকায় ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়। এর অংশ হিসেবে আজ ভোর পাঁচটার দিকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় কয়েকজন আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এলাকায় ফিরে আসেন। খবর পেয়ে কাইয়ুমের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষ টেঁটা, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইদন মিয়াসহ অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।
আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইদন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদা গুলশানারা কবীর। তিনি জানান, ইদন মিয়াকে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় এবং মৃত অবস্থাতেই ছিলেন। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শাহ আলম চৌধুরী ও আবদুল কাইয়ুম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে