খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, এয়ার এম্বুলেন্স প্রস্তুত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিঙ্গাপুর বা ইউরোপে স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। একই তথ্য দিয়েছেন বিএনপির ভাইস–চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। তিনি জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তবে খালেদা জিয়া এখনো বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে গিয়ে মান্না বলেন, চিকিৎসকেরা কোনো আশাব্যঞ্জক খবর দিতে পারেননি। তার ভাষায়, গতদিনের মতোই সংকটাপন্ন অবস্থা- উন্নতি বা অবনতি কোনোটিই হয়নি। প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ, হৃদ্‌রোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞরা নিবিড় পরিচর্যায় তার চিকিৎসা চালাচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা নিয়ে সেবা দিচ্ছেন এবং কয়েকটি মিত্র রাষ্ট্র সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিএনপি ভাইস–চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেন, বিদেশে নেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও তা কার্যকর হবে খালেদা জিয়ার শারীরিক উন্নতির ওপর নির্ভর করে। তিনি জানান, বিভিন্ন বিদেশি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সকালে তাকে দেখতে যান ডাকসুর সাবেক এজিএস ও বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম। বেরিয়ে এসে সবার কাছে দোয়া চান। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন জানান, অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত এবং বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ডই।

এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ডা. তাসনিম জারা জানান, অবনতি সত্ত্বেও খালেদা জিয়া সজাগ আছেন এবং চিকিৎসকদের নির্দেশনা বুঝতে পারছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, বর্তমান অবস্থায় তাকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবনতিতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে তার নির্দেশে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও বিশেষ সহকারী মনির হায়দার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থার খোঁজ নেন।