দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দরকার: এনসিপি
দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দরকার বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চলতি মাসেই ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে তারা। তবে একটি দল গণভোটকে ইস্যু করে, আরেক দল সংস্কার ভেস্তে দিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জামায়াত এখন গণভোটকে প্রধান ইস্যু করছে। এর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। যদি নোট অব ডিসেন্ট থাকে তাহলে গণভোট বা ঐক্যমতের কিছু থাকে না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার— দুটি আলাদা কার্যক্রম হিসেবে দেখছে এনসিপি। এমনকি সংস্কারের পক্ষে না থাকলে তাদের সাথে জোটে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন নাহিদ।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে জাতির সাথে প্রতারণা করেছে। সংস্কার ও দাবির ক্ষেত্রে কোনো দলের সাথে মিললে কিংবা ঐক্য বা সমোঝোতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এনসিপি স্বাগত জানাবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের পক্ষে যদি কেউ না থাকে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। কোনো একটি দলের চাপে সরকার বারবার টেক্সট পরিবর্তন করেছে। বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আদেশ সমর্থন করা হবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কোনো ভয় থাকার কিছু নেই, অযথা বিতর্ক ও ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবকে ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তার ছবি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা সংবিধানে থাকা সম্ভব নয়। বাস্তবায়ন আদেশে খসড়া-১ অনুযায়ী যেভাবে ছিল, যদি পরিবর্তন আনা হয়, এনসিপি তা সমর্থন নাও করতে পারে।’
প্রতীক ইস্যুতে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, নতুন দল হিসেবে সহযোগিতার পরিবর্তে আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। তবে শাপলা কলির যে সিদ্ধান্ত, সেটি তারা এক মাস আগেও দিতে পারতো। আমরা শাপলাই চাই।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে