Views Bangladesh Logo

মিটফোর্ড ঘটনায় আনসারের গাফিলতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন ডিজি

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

সালিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) কাছে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডে আনসার সদস্যদের কোনো গাফিলতি ছিল না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

রোববার (১৩ জুলাই) খিলগাঁওয়ে আনসার সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, ঘটনার দিন ৯ জুলাই বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে গেট নম্বর ৩ এর কাছে হামলার সময় সেখানে কোনো আনসার সদস্য দায়িত্বে ছিলেন না।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের অফিসিয়াল ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী, ওই গেটে একজন আনসার সদস্য সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। এরপর আর কোনো সদস্য সেখানে মোতায়েন ছিল না।’

ডিজি মাহমুদ বলেন, আনসার সদস্যদের দায়িত্ব নির্দিষ্টভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিযুক্তি অনুযায়ী দেয়া হয় এবং তারা বরাদ্দকৃত পয়েন্টের বাইরে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে আনসারের ৮০ জন সদস্য মোতায়েন আছেন, যারা বিভিন্ন শিফটে ২৪টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্য দিবালোকে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে এবং আশপাশে অনেক পথচারী উপস্থিত থাকলেও কেউ কাছাকাছি থাকা আনসার ক্যাম্পে বা প্লাটুন কমান্ডারকে অবহিত করেনি।’

তিনি জানান, ‘প্লাটুন কমান্ডার যখন হামলার খবর পান, তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেই সঙ্গে তিনি দ্রুত হাসপাতাল প্রশাসনকে জানান এবং আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।

ডিজি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, আনসার সদস্যদের হাসপাতালের বাইরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত না হওয়ার নির্দেশ দেয়া আছে।

‘আনসার সদস্যরা হাসপাতাল পরিচালক কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে কাজ করেন। তারা নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না, যদি না তাৎক্ষণিক কোনো নির্দেশ দেয়া হয়,’ জানান তিনি।

তিনি বলেন, যদি ঘটনাটি হাসপাতালের ভেতরে ঘটত, তাহলে আত্মরক্ষার অধিকার বলে আনসার সদস্যরা পদক্ষেপ নিতে পারতেন।

আনসার কর্মকর্তারা মিটফোর্ড হাসপাতালের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা দুর্বলতার দিকগুলোও তুলে ধরেন। সেগুলো হলে:

১. গেট নম্বর ৩–এ এখনো সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি, যদিও বারবার অনুরোধ করা হয়েছে।

২. আনসার সদস্যদের নিরস্ত্র অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হয়, যার ফলে সহিংস ঘটনার মুখে তারা অসহায় থাকেন।

৩. গেট নম্বর ৩–এর মতো ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

হত্যাকাণ্ডটি আনসার ব্যারাক থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে ঘটে, যা আনসার সদস্যদের অবস্থান থেকে দেখা সম্ভব ছিল না।

এই প্রেক্ষাপটে ডিজি মাহমুদ বলেন, এখানে আনসারের গাফিলতির কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি আরও বলেন, ‘একটি পেশাদার বাহিনীকে এমন ভিত্তিহীনভাবে দায়ী করাটা দুঃখজনক ও হতাশাজনক। আনসার সদস্যরা নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদের কোনো ব্যর্থতা ছিল না।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ