শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় মৃত বেড়ে ১২৩, নিখোঁজ ১৩০ জন

ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার প্রভাবে টানা প্রবল বর্ষণে শ্রীলঙ্কায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৩০ জন। দ্বীপজুড়ে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠছে।

ডিএমসির তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। কলম্বোর কাছে ভারত মহাসাগরে মিশে যাওয়া কেলানি নদী উপচে পড়ে আশপাশের জনপদ প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ডিএমসির মহাপরিচালক সাম্পাথ কোটুওয়েগোদা জানিয়েছেন, সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৪৩ হাজার ৯৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন শ্রীলঙ্কা থেকে সরে প্রতিবেশী ভারতের দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর নৌকা দিয়ে অসংখ্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যাঞ্চলে ভূমিধসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মাটিচাপায় ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা ও কাদার ধসে অন্তত তিন হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮ হাজারের বেশি মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়েছে।

বন্যার কারণে কলম্বোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার বিমান চলাচল ব্যাহত হয়। রেল লাইনের পাশে পানি ওঠায় শনিবার সকাল থেকে মেইন লাইনসহ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের জুনে টানা বৃষ্টিতে শ্রীলঙ্কায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। একই বছরের ডিসেম্বরে বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারায় আরও ১৭ জন।