Views Bangladesh Logo

বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টায়ও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করলেও আসন্ন গণভোট ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের সংগঠন ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় জামায়াতসহ আট দলের ৫ দফা দাবির আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'জামায়াতসহ আট দলের যে ৫ দফা দাবি উত্থাপিত হয়েছে, এনসিপি তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানাচ্ছে। তাদের ওপর হামলা হলে আমরা চুপ করে থাকব না। ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা না নিলে জনগণ তাদেরও জবাব দেবে। আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই।'

তিনি বলেন, 'এখন কথা বললেই উপদেষ্টারা নাখোশ হন। সরকারের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা হারিয়ে গেছে। দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামলেই হামলা করা হচ্ছে। উপদেষ্টারা নাখোশ হয়ে লাভ নেই, জনগণের দাবিই এখন মুখ্য।'

‘আগুন সন্ত্রাসে’ আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, 'সব রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে হবে। মানবিক দায়িত্ব এখন সবার।'

বিএনপি–জামায়াত জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসন বিএনপি–জামায়াতের নেতাদের ওপর সব ধরনের শাস্তি প্রয়োগ করেছে। এখন সংস্কারের দাবি উঠেছে, একটি দল ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া থেকে সরে গেছে। কেউ কেউ বলছে, জনগণ কিছু বোঝে না—এ ধারণা ভুল। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুন প্রজন্ম সংস্কার চায়।'

বিএনপির উদ্দেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া জনগণের মন বুঝেছিলেন বলেই বিএনপি বড় দল হয়েছিল। বর্তমান নেতৃত্ব যদি জনগণের স্পন্দন না বোঝে, তবে দল হারিয়ে যাবে। বিএনপিকে আবার জনগণের কাছে ফিরে আসতে হবে।'

স্বাস্থ্য খাতের বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যদি দলীয় ক্যাডাররা মারামারিতে লিপ্ত থাকে, তাহলে এর খেসারত দিতে হবে পুরো দেশকে। বড় বিপর্যয় আসতে পারে।'

একই অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে কারও স্তুতি গাওয়া চলবে না। ভালো–খারাপ যাই হোক, সামনে থেকে কথা বলতে হবে। হাসিনার আমলে সহমতের স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু দ্বিমতের স্বাধীনতা ছিল না। অপ্রিয় কথাও শুনতে পারাই গণতন্ত্রের পরিচায়ক। হাসিনা কোনো ব্যক্তি নয়—তিনি একটি ধারণা। তাঁর প্রেস ব্রিফিংয়ে স্তুতি গেয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা সাংবাদিকদেরও আত্মসমালোচনা করা উচিত।'

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ